নজরুল ইসলাম
রম্য লেখক, শিক্ষানুরাগী, আব্দুন নূরজাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় এর দাতা সদস্য সর্বজন শ্রদ্ধেয় জনাব বশির উদ্দিন আহমদ বিদ্যালয়ে কৃষ্ণচূড়ার চারা রোপন করার পরামর্শ দেন। নোট দিয়ে বলেন, ভবিষ্যৎ ডেভেলপমেন্টে গাছ যাতে বাধা হিসেবে কাজ না করে সেটা মাথায় রাখবেন। আজ তার সৌজন্যে সপ্তাহ ব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
আজ ১২/০৮/২০২৩ ইং রোজ রবিবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে নিয়ে আব্দুন নূর নূরজাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন আব্দুন নূর নূরজাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নূরজাহান চৌধুরী।
তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন, তাদের লেখাপড়ার খবর নেন, শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে মাসিক সভায় অংশগ্রহণ করেন। দীর্ঘ দিন থেকে তিনি অসুস্থ তারপর আজকে ছাত্র-ছাত্রীরা উনাকে পেয়ে তিনি আনন্দিত, এসএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্টের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি আগামী বছর শতভাগ রেজাল্ট করার লক্ষ্যে কাজ করার অনুরোধ জানান।
প্রবাসে বসে এই বিদ্যালয়কে কিভাবে প্রাকৃতিকভাবে কালারফুল করা যায় এমন পজেটিভ চিন্তা ভাবনার জন্য জন্য। আমেরিকা প্রবাসী বশির উদ্দিন আহমদকে আব্দুন নূরজাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় এর পক্ষ থেকে এবং অত্র এলাকার সকলের পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ যেন আপনাকে নেক হায়াত দান করেন এবং আমাদের মধ্যে হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখেন সেই দোয়া করছি।
কৃষ্ণচূড়া এত সুন্দর একটি ফুল, এই ফুল সম্পর্কে যদি আপনাদের একটু ধারণা না দেওয়া হয় তাহলে কেমন হয়? কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জুরি কর্ণে-আমি ভুবন ভুলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে’ কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই মনোমুগ্ধকর গান আমাদের স্মরণ করে দেয় কৃষ্ণচূড়ার তাৎপর্য।
বৈশাখের আকাশে গনগনে সূর্য। কাঠফাটা রোদ্দুরে তপ্ত বাতাস। প্রকৃতি যখন প্রখর রৌদ্রে পুড়ছে কৃষ্ণচূড়া ফুল তখন জানান দেয় তার সৌন্দর্যের বার্তা। গ্রীষ্মের এই নিস্প্রাণ রুক্ষতা ছাপিয়ে প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়া নিজেকে মেলে ধরে আপন মহিমায়। যেন লাল রঙে কৃষ্ণচূড়ার পসরা সাজিয়ে বসে আছে প্রকৃতি, যে কারো চোখে এনে দেয় শিল্পের দ্যোতনা।
কৃষ্ণচূড়া গাছের আরেক নাম যে গুলমোহর তা কম লোকই জানেন, কিন্তু কৃষ্ণচূড়াকে চেনেন না এমন লোক খোঁজে পাওয়া ভার। এখন কৃষ্ণচূড়ার সময়, ফুল ফোটে আছে গাছে গাছে লালে লাল হয়ে। এই লালের সমারোহ কৃষ্ণচূড়ারই মহিমা। কৃষ্ণচূড়াকে সাধারণত আমরা লাল রঙেই দেখতে অভ্যস্ত। তবে উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা বলছেন, কৃষ্ণচূড়া তিনটি রঙের হয়। লাল, হলুদ ও সাদা।
বাংলাদেশে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কৃষ্ণচূড়ার ফুল ফোটার সময় বিভিন্ন। যেমন, দক্ষিণ ফ্লোরিডায় -জুনে, আরব আমিরাতে-সেপ্টেম্বরে, ক্যারাবিয়ানে মে থেকে সেপ্টেম্বর, ভারতে এপ্রিল থেকে জুন, অস্ট্রেলিয়ায়- ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি।
কবিগুরু রবি ঠাকুরের ভাষায় ‘গন্ধে উদাস হওয়ার মতো উড়ে/ তোমার উত্তরী কর্ণে তোমার কৃষ্ণচূড়ার মঞ্জরি’ আজ টিকে আছে নড়বড়ে অস্তিত্ব নিয়ে।
গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মন্তব্য করুন