স্টাফ রিপোর্টার। :-
একটি স্বার্থান্বেষী প্রভাবশালী মহলের রোষানলে পড়েছেন বানিয়াচং উপজেলার ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়নের একতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিরীহ আব্দুল মান্নান চৌকদার।শুধু তাই নয়,বিভিন্ন দপ্তরে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগে তাকে হয়রানি করে চলেছে ওই মহলটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,২০০২ইং সালে একতা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন আব্দুল মান্নান চৌকদার।এই এলাকার স্থানীয় লোক না হয়েও তিনি দীর্ঘ ২০ বছরের অধিক সময় ধরে সততার সহিত শিক্ষকতা চালিয়ে যাচ্ছেন।নিজের সততা এবং সরল ব্যবহারে শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের ভালোবাসা কুড়িয়েছেন।উনার অক্লান্ত পরিশ্রমে বানিয়াচং উপজেলার এই হাওর-বেষ্টিত দূর্গম অঞ্চলের স্কুলটির রেজাল্ট এবং সবদিক মিলিয়ে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে।তিনি ২০১৭সালে উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষকের খেতাব অর্জন করেন।
অথচ কয়েক বছর ধরে একটি কুচক্রী মহল বিদ্যালয় ফান্ডের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে ওই সহজ-সরল প্রধান শিক্ষককে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগে হয়রানি করে চলেছে।ওই চক্রের সাথে তাল মেলাচ্ছেন স্থানীয় এক অযোগ্য শিক্ষক।শুধু তাই নয় ওই স্থানীয় শিক্ষক জোরপূর্বক একতা উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস করান।প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তিনি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।পরবর্তীতে দায়েরকৃত মামলা সিআইডি তদন্তে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন।সম্প্রতি আবারো স্থানীয় ওই অযোগ্য শিক্ষকের নেতৃত্বে প্রধান শিক্ষককে হয়রানি করতে কুচক্রী মহলটি গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।জেলা প্রশাসক-উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে তাদের নিজস্ব লোক দিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ দায়ের করেছে।
প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান চৌকদার জানান,২০২২ সালের
১৮ মে বিদ্যালয় পরিচালনা ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয়।এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন নতুন মূখ স্থানীয় সমাজসেবক উসমান মিয়া প্যানেল।এর পরপরই পরাজিত পক্ষটি আবারো আমার ক্ষতি সাধন করতে উঠেপড়ে লাগে।আমার দেশের বাড়ি ফরিদপুর জেলায়।মানুষের ভালোবাসায় দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় সুনামের সহিত শিক্ষকতা চালিয়ে আসছি।অথচ ওই বিদ্যালয়ে আইন অমান্য করে এক স্থানীয় শিক্ষক আমার ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নেন। বাঁধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করা হয়।তাই ভয়ে আর এখন প্রতিবাদ করিনা। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে আরো বলেন,
ইতিপূর্বে ওই কুচক্রী মহলের বিভিন্ন নির্যাতনে আমি হার্ট অ্যাটাক করি,এসময় আমার পরিবার আমাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে ভাইপাস চিকিৎসা করিয়ে আমায় সুস্থ্য করে তুলেন।আবারো তারা আমাকে হেয় এবং মানষিক নির্যাতন করে যাচ্ছে।প্রাণভয়ে চলাচল করি।কখন জানি আমার উপর হামলা হয়।আমি এবিষয়ে বানিয়াচং উপজেলার সকল স্তরের শিক্ষকদের সহযোগিতা কামনা করছি এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উসমান মিয়া বলেন,আমাদের প্যানেল নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে উনাকে হয়রানি করে চলেছে একটি মহল।আমরা স্থানীয় হওয়ায় তারা আমাদের কিছু করতে না পেরে,প্রধান শিক্ষকের সাথে বিবাদ শুরু করেছে।বিষয়টি দুঃখজনক,আমি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন