বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় টাকা আত্মসাৎ করে কানাডার বেগম পাড়ায় গিয়ে যারা বাড়ির মালিক হচ্ছেন সেই সমস্ত ডাকাতদের জন্য এই খবরটির সারমর্ম হতে পারে শিক্ষনীয়।
এই দেশে প্রধানমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী কেহ আইনের উর্ধ্বে নহে।
নজরুল ইসলাম ll
নিয়ম মেনে কর না দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর তা নিয়ে তদন্তেও নাদিম জাহাউই সহায়তা করেননি বলে জানা গেছে।
কর ফাঁকি সংক্রান্ত জটিলতায় জড়িয়ে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানের পদ হারিয়েছেন নাদিম জাহাউই।
রোববার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তাকে বরখাস্ত করেন। তিনি সুনাকের মন্ত্রিসভার দপ্তরবিহীন মন্ত্রীও ছিলেন। সুনাক বলেন, একটি তদন্তে সেখান ‘মন্ত্রীদের আচরণ বিধির গুরুতর লঙ্ঘন’ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি জাহাউইর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে, তিনি সঠিক নিয়মে সরকারি কর প্রদাণ করেননি। অপরিশোধিত ওই করের কারণে গত বছর তাকে জরিমানাও গুণতে হয়। ওই সময় তিনি যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর ছিলেন।
জরিমানা দিয়ে জাহাউই বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ বিরোধী লেবার পার্টির।
বিবিসি জানায়, জাহাউইর বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী সুনাক। যদিও শুরুতে তিনি জাহাউইকেই সমর্থন করেছিলেন।
নিজের পক্ষে সাফাই দিতে গিয়ে জাহাউই বলেছিলেন, কর কর্তৃপক্ষ বলেছে, তিনি নিজের সম্পদ ও আয় ঘোষণার সময় ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনের মত আচরণ’ করেছেন। তবে তিনি ইচ্ছা করে কর ফাঁকি দিয়েছেন, বিষয়টা এমনটা নয়।
যদিও তিনি স্বীকার করেন, কর ঠিকমত পরিশোধ না করার কারণে তাকে জরিমানা দিতে হয়েছে।
যেটিকে ‘মন্ত্রীদের আচরণের গুরুতর লঙ্ঘন’ বলে বর্ণনা করে জাহাউইকে লেখা চিঠিতে সুনাক বলেন, ‘‘এ কারণে আমি আপনাকে জানাতে চাই, মহামান্য রাজার সরকারে আপনি যে দায়িত্বে আছেন সেখান থেকে আপনাকে সরিয়ে দেওয়া হলো।”
জবাবে জাহাউই কর কর্তৃপক্ষ বা তার বিরুদ্ধে হওয়া স্বাধীন তদন্ত নিয়ে কোনো কথা না বলে বরং গত কয়েক সপ্তাহে গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে যেসব খবর প্রকাশ পেযেছে সেগুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘‘আমার কারণে আমার পরিবারকে যে পরিমাণ বিব্রত হতে হয়েছে তার জন্য আমি দুঃখিত।”
বরখাস্ত হওয়ার পর সুনাককে লেখা একটি চিঠিতে জাহাভি বলেছিলেন যে সরকারে চাকরি করা “আমার জীবনের বিশেষত্ব” ছিল।
তিনি যোগ করেছেন: “আমি নিপীড়ন থেকে পালিয়ে এই দেশে এসেছি এবং ইংরেজি বলতে পারিনি। এখানে, আমি একটি সফল ব্যবসা গড়ে তুলেছি এবং সরকারের কিছু উচ্চপদে কাজ করেছি। আমি বিশ্বাস করি পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে আমার গল্প সম্ভব হবে না। এটা আমাদের জাতির মহানুভবতা ও সহানুভূতির প্রতি আমার বিশ্বাসকে আবারও নিশ্চিত করে।”
যুক্তরাজ্যের সরকার ব্যবস্থায় ২০২২ সালের মত বিশৃঙ্খলা সম্ভবত আর কখনও দেখা যায়নি। গত বছর দেশটি তিন তিনজন প্রধানমন্ত্রী দেখেছে।
নতুন বছরেও সেই বিশৃঙ্খলা পিছু ছাড়েনি। জাহাউই ছাড়াও উপপ্রধানমন্ত্রী ডমিনিক রাবের বিরুদ্ধেও ‘বুলিংয়ের’ অভিযোগে তদন্ত চলছে। যা সরকারের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
অদ্য, প্রধানমন্ত্রীর ঋষি সুনাককে গাড়িতে সিট বেল্ট না বাধার অপরাধে fine করা হয়েছে।
News Source
BBC / Guardian
মন্তব্য করুন