আঃজলিল,স্টাফ রিপোর্টার:
ভ্যানচালক সেজে যাত্রী সাথে সোনার পয়সার প্রতারণার দায়ে দুই আন্তজেলা প্রতারক চক্রের সদস্যকে আটক হয়েছে।
রোববার (১২ই ডিসেম্বর ২০২২) রাত দেড়টার দিকে খুলনা জেলার কেএমপি’র হরিনটানা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা তাদের আটক করেন।
আটককৃতরা হলেন, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার আংগারদহ গ্রামের মোঃ ফারুক মীরের ছেলে টগর মীর @ বাবু (২৮), বর্তমানে সে খুলনা জেলার লবণ চড়া থানার এ/পি-নিজখামার পিপড়ামারী ( জনৈক ইউসুফ মিয়া এর মৎস্য ঘেরের পাড়) এলাকার বাসিন্দা ও খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার শান্তিনগর এলাকার আব্দুস সোবানের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪০)।
গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা এ সময়ে তাদের হেফাজত থেকে একটি স্বর্ণের আংটি,স্বর্ণ সাদৃশ্য পিতলের ধাতব পদার্থ, চিরকুট (চিঠি), ১টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও নগদ ২৬ হাজার টাকা জব্দ করেন।
সোমবার সন্ধ্যায় যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়,
ঘটনার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়,গত ৮ই অক্টোবর ২০২২ তারিখ ও ২৭ অক্টোবর ২০২২ তারিখ একটি অজ্ঞাতনামা প্রতারক চক্র ভ্যানচালক সেজে ভুক্তভোগী যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ফেদাইপুর সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী আসমা বেগম (৩৮) ও যশোর জেলা কেশবপুর উপজেলার আলতাপোল গ্রামের হারাধন আঢ্যের স্ত্রী লতিকা আঢ্যকে (৪৫) ভ্যানের আরোহী হিসেবে ভাড়ায় নিয়ে রায়। পথিমধ্যে স্বর্ণের বার সাদৃশ্য পিতলের ধাতব পদার্থ ও একটি চিরকুট (চিঠি) রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়ার ভান করে ভুক্তভোগীদের প্রতারণা পূর্বক জ্ঞানশুন্য করে তাদের নিকট থেকে স্বর্ণালংকার চুরি ও চুরির চেষ্টা করে । ২৭শে অক্টোবর ২০২২ তারিখের ঘটনায় স্থানীয় জনতা আলমগীর হোসেন নামে এক জন কে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এ ঘটনায় কেশবপুর থানায় পৃথক দুই টি মামলা দায়ের ও করেন। সেই মামলার তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখার উপর ন্যাস্ত করা হলে এসআই নিতাই চন্দ্র দাস ও মফিজুল ইসলাম, পিপিএমের নেতৃত্বে একটি টিম তথ্য প্রযুক্ত ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করেন। একপর্যায়ে রোববার (১২ই ডিসেম্বর ২০২২) রাত দেড়টার দিকে খুলনা জেলার কেএমপি’র হরিনটানা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা তাদের আটক করেন।
আটককৃতদের সোমবার দুপুরে আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন