হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
নবীগঞ্জ উজেলার করগাঁও ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রাম ঘেষা সরকারী মরা কুশিয়ারা খাল পাশর্^বর্তী দত্তগ্রামের কতিপয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে বিক্রি করায় ওই এলাকার লোকজনের দৈন্যদিন কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। চরম বিপাকে পড়েছেন অসহায় দারিদ্র এই জনগোষ্টি। এ নিয়ে এলাকায় গ্রামবাসী ও খাল ইজারাদারদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংখ্যা করছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, কমলাপুর গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত সরকারী মরা কুশিয়ারা খাল। ওই খালে জমাট পানিতে দারিদ্র জনগোষ্ঠি কমলাপুর গ্রামের নারী-পুরুষসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ গোসল, কাপড় ধুয়াসহ দৈন্যদিন কাজকর্ম চালিয়ে আসছেন যুগযুগ ধরে। সম্প্রতি ৮নং সদর ইউনিয়নের দত্তগ্রামের প্রভাবশালী রুহুল আমীন ও তার সঙ্গীয়রা সরকারের কাছ থেকে কোন প্রকার ইজারা না নিয়েই একই গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে আলী হোসেন, জয়চান নমসুত্রের ছেলে শ্রীকৃষ্ণ সরকার, এশ^াদ উল্লার ছেলে হেকিম মিয়া, ছিন্ন মনি সরকারের ছেলে সতিষ সরকার, রূপাই সরকার ও সুনীল সরকার জোর পুর্বক উক্ত খালে দলকাটা লাগিয়ে মাছ আহরণের অপচেষ্টা এবং কমলাপুর গ্রামবাসীকে খালে দৈন্যদিনের কাজকর্ম করতে বাধা নিষেধ প্রদান করেন।
এ নিয়ে গ্রামবাসী ও ইজারাদারদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে গতকাল শনিবার কমলাপুর গ্রামবাসী সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের নিকট বিচার প্রার্থী হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রুহুল আমীন শহরের থানা পয়েন্টে গ্রামবাসীকে গালমন্দ করে। এ ব্যাপারে গ্রামবাসীর পক্ষে সৈয়দ জাহির আলী নবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
মন্তব্য করুন