নজরুল ইসলাম ll
এক্সক্লুসিভ
মানুষের কাজের স্বীকৃতি দিতে গিয়ে আমরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পরি। সমাজে কেহ আরো কাজে স্বীকৃতি দিতে চায় না, কারণ কি? Very briefly আমাদের জ্ঞানের পরিধি যেমন কাজও তেমন। আমরা একটা গন্ডির মধ্যে বিশিষ্ট জ্ঞানী গুণী বুদ্বিজীবী মাতব্বর বা রাজনৈতিক নেতা। আমাদের জ্ঞানের পরিধির সাথে আমরা প্রায়ই ধাক্কা খাচ্ছি। আমাদের ন্যূনতম উপলব্ধি নেই যে, কাজের স্বীকৃতি মানুষকে উৎসাহ যোগায়, নতুন কিছু করার প্রেরণা দেয়, সমাজে একে অন্যের প্রতি ভাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য এই সহজ বিষয়টি বোধগম্য হওয়ার জন্য আমাদের নিন্মতম সেই উপলব্ধি মাইল দূরে।
জর্জ এস, প্যাটন ২য় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকান সেনাবাহিনীর এক জেনারেল লিখেছেন “একজন মানুষ এখন কতটা উপরে আছে, তা দিয়ে আমি তার সাফল্য মাপি না। একদম নিচে পড়ে যাওয়ার পর সে নিজেকে কতটা ওপরে তুলতে পারে –সেটাই আসল কথা।” পাঠক, আজ একজন সফল ব্যক্তিকে নিয়ে আলোচনা করতে চাই। যার জীবন সাফল্যে ভরপুর। তিনি একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশী সফল ব্যক্তি হিসেবে সমাজের সকল স্তরে সমাদৃত।
পাঠক, সাফল্য হচ্ছে এমন একটি সৌভাগ্য যার মূলে ক্রমান্বয়ে আছে অনুপ্রেরনা, উচ্চাশা, তীব্র ইচ্ছা, কঠিন পরিশ্রম। সাফল্য এবং সুখ পরস্পরের হাত ধরাধরি করে চলে। আপনি যা চেয়েছেন তা পাওয়াই সাফল্য, আর সুখ হচ্ছে আপনি যা পেয়েছেন তার মধ্যেই পাওয়ার ইচ্ছাকে সীমাবদ্ধ রাখা।
ড.ওয়ালী তসর উদ্দিন এমবিই (Mbe Member of the Order of the British Empire) একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশী ব্যবসা উদ্যোক্তা। একজন সফল ব্যক্তিত্ব, যাঁকে নিয়ে দেশ জাতি গর্ব করতে পারে। ড.ওয়ালীর বিরল প্রতিভা তার ব্যক্তি জীবনে সফলতায় যত প্রতিবন্ধকতা ছিল তা ভেদ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। নিজ মেধা, মনন, শ্রম ও কর্তব্যনিষ্ঠায় ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন এমবিই বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করে যাচ্ছেন।
পাঠক, উদ্যোক্তা হলেন এমন ব্যক্তি যিনি উৎপাদনের উদ্দেশ্যে একটি নতুন কোম্পানি তৈরি করে। নতুন নতুন সুযোগ গুলো চিহ্নিত করে মুলধন বিনিয়োগ করে ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহন করে। সকল প্রকার ঝুঁকি মোকাবেলা করে থাকে। যার মুল উদ্দেশ্য হল আর্থিক মুনাফা লাভ করা এবং ব্যবসা বৃদ্ধি করা।
পাঠক, যে বৈশিষ্ট্যটি মানুষকে অন্য সব প্রাণীদের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছে তা মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি। শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড, এই জ্ঞান বা বুদ্ধির বিকাশ ও সমৃদ্ধি ঘটে শিক্ষার মাধ্যমে। শিক্ষাই মানুষকে মর্যাদার শিখরে পৌঁছে দেয়। শিক্ষাই মানুষের ভালো-মন্দ সম্পর্কিত ধারনা প্রদান করে, মানবের মনে মনুষ্যত্তের সৃষ্টি করে, একজন মানুষের সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক বিষয় গুলো সম্পর্কে ধারনা দেয়। শিক্ষাই মানুষকে সমাজে নিয়ম-শৃঙ্খলা নিয়ে বাঁচতে শিখায়, সুতরাং মানব জীবনে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।
ড. ওয়ালীর বর্ণিল শিক্ষাজীবন, সাফল্য ও অর্জনের দিকে তাকালেই তার জীবনের অর্জিত সাফল্যে গৌরবগাঁথা উপলব্ধি করা যায়। ছোটবেলায় ওয়ালী তসর উদ্দিন বাংলাদেশে মৌলভীবাজার জেলার স্থানীয় বারন্তী প্রাইমারী স্কুল এবং মৌলভীবাজার সরকারি হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন। তিনি ১৯৬৭ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে লন্ডনে চলে আসেন। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে আবার বাংলাদেশে ফিরেন, সেখানে এসএসসি পাস করেন। এসএসসি পরবর্তী আবার ও যুক্তরাজ্যে ফিরে যুক্তরাজ্যস্থ সাউথ-ওয়েস্ট লন্ডনের পাটনী কলেজ থেকে মটর ভেহিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এইচএনসি কোর্স সম্পন্ন করেন। ইংল্যান্ডের লুটন থেকে সেলস এন্ড মার্কেটিং ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ফেলোশিপ লাভ করেন। হেরিওট ওয়াট ইউনিভার্সিটি থেকে ডিলিট ডিগ্রি এবং কুইন মার্গারেট ইউনিভার্সিটি থেকে বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। কুইন মার্গারেট ইউনিভার্সিটি তাঁকে বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনে অনারারি ডক্টরেট ডিগ্রি এবং Napier University সম্মানসূচক গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করে। বিদেশে বাঙালি কমিউনিটির শান্তি ও সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার জন্য ব্রিটেনের রাণী ১৯৮৪ সালে ড. ওয়ালীকে জাস্টিস অব পিস JP: Justices of the Peace খেতাবে ভূষিত করেন। স্কটল্যান্ডে তিনিই প্রথম বাংলাদেশি যিনি এ খেতাব পান। তিনি ১৯৯৩ সালে স্কটল্যান্ডে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল জেনারেল এবং ১৯৯১ সালে ইয়ং স্কট অব দ্যা ইয়ার নির্বাচিত হন। কমিউনিটিতে তাঁর অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৭ সালে Heriot-Watt University থেকে honorary ডি-লিট ডিগ্রি লাভ করেন। উদ্যোক্তা ও দাতার স্বীকৃতি হিসেবে ড. ওয়ালী লাইফ টাইম এচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ডও অর্জন করেন। তিনি ব্রিটেন থেকে ১৯৯৫ সালে এমবিই Member of the Order of the British এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
পাঠক, প্রবাসী মানে নিজ দেশ ত্যাগ করে অন্য দেশে যাওয়া। প্রবাসী মানে অন্য দেশে গিয়ে নিজের দেশের গুরুত্ব উপলব্ধি করা। দায়িত্ব ও কর্তব্য নিষ্ঠায় বাবা-মা পরিবার প্রতিবেশীর মায়া মমতা ত্যাগ করে ভিন দেশে গিয়ে দেশকে না ভুলা। ড.ওয়ালী তসর উদ্দিন এমবিই এর শুরুটা ছিল তেমনি। প্রবাসে গিয়ে তিনি দেশকে ভুলেননি। পেশাগত ও সামাজিক জীবনে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। একজন শিক্ষানুরাগী এবং শিক্ষা সংস্কৃতির একনিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দেশে-বিদেশে তিনি সমাদৃত। শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও কার্যকর শিক্ষার প্রসারে তিনি অগ্রসৈনিক। শুধু যুক্তরাজ্যেই নয়, তিনি বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালের সাবেক চেয়ারম্যান, বর্তমানে চীফ কো- অর্ডিনেটর, ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফেডারেশন অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইবিএফসিআইয়ের সভাপতি। এছাড়াও সিলেট সেন্ট্রাল ডেন্টাল কলেজ হসপিটাল, সিলেট প্রেসিডেন্সী ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, অতীশ দীপংকর ইউনিভার্সিটি, ব্লেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ইনস্টিটিউট অব চার্টাড ইঞ্জিনিয়ারিং, ট্রাস্টি, বাংলাদেশ ফিমেল একাডেমি, চেয়ারম্যান, ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট লন্ডন বিজনেস স্কুল এডভাইজরি গ্রুপ, বাংলা-ট্রাস্টি , স্কট ফাউন্ডেশন ,চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ-ব্রিটিশ চেম্বার অব কমার্স ,সহ-সভাপতি ইউরোপিয়ান- বাংলাদেশ ফেডারেশন অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন।
পাঠক, সাফল্য তাদেরই পা ছুঁয়ে যায় যাদের প্রত্যেক বয়সেই শেখার ইচ্ছা থাকে। শেখার আকাঙ্ক্ষা যেকোনো কিছু করতে সহায়ক। যে শেখে সে-ই আজকের সময়ের সাথে এগিয়ে যেতে পারে। জীবনে যদি কোনো কারণে ব্যর্থতা হয়, তবে সাহস রাখুন এবং সাহসিকতার সাথে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করুন। ব্যর্থতা র্সাফল্যের লক্ষণ, আপনার ব্যর্থতা থেকে শিখুন এবং এটি পর্যবের্যক্ষণ করুন, কারণটি সন্ধান করুন এবং এটিকে পাশে রাখুন ও এগিয়ে যান। কর্মক্ষেত্রে কোনো ঝামেলা বা সুখবর দেখে নিরুৎসাহিত বা উত্তেজিত হবেন না এবং তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেবেন না। তাড়াহুড়ো করে নেওয়া সিদ্ধান্ত কখনই কার্যকর প্রমাণিত হয় না।
ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন এমবিই এর শুরুটা কুসুমাতীর্ণ ছিল না। কর্মজীবন শুরু হয় যুক্তরাজ্যের “চীফ উইকে কিসমত, রেস্টুরেন্টে শিক্ষানবিশ ওয়েটার হিসেবে। পরবর্তীতে তিনি লন্ডনের হ্যাম্পস্টীড হীথের শাহানশাহ রেস্টুরেন্ট, মিডল্যান্ডের চেস্টার ফিল্ডের তাজমহল রেস্টুরেন্ট, উইম্বলডিনের রয়েল বেঙ্গল রেস্টুরেন্ট এবং লন্ডনের গ্লোস্টার রোডে কারী হাউস এ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কর্মরত ছিলেন। হোটেল ব্যবসার যথাযথ জ্ঞান অর্জন করে সফল হওয়ার উন্মোধনায় আসক্ত ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন ১৯৮১ সাল থেকে নিজেই হোটেল ব্যবসা শুরু করেন। একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে ড. ওয়ালীর রয়েছে প্রচুর সুখ্যাতি। পরিশ্রম,সততা ব্যবসা পরিকল্পনা আর নিষ্ঠার সাথে কাজ করে তিনি সুদূর যুক্তরাজ্যে গড়ে তুলেছেন ব্রিটেনের শ্রেষ্ঠ হোটেল ব্রিটানিয়া স্পাইস। তাঁর প্রতিষ্ঠিত হোটেল ব্রিটানিয়া স্পাইস ইতোমধ্যে শ্রেষ্ঠ হোটেলের সম্মানে ভূষিত হয়েছে।
একান্ত আলাপচারিতায় যতটুকু উপলব্ধি হয়েছে ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন এমবিই এর দেশপ্রেম মনের গহীন থেকে। তিনি নিজ মাতৃভূমি বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবেন। প্রবাসে বসবাস করলে বাংলাদেশ সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক। তিনি মনে করেন বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে হলে প্রথমে এদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে পুরোপুরি ঢেলে সাজাতে হবে। সকল পর্যায়ে কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের লক্ষ্যে প্রকৌশলীদের নিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, বিগত দশকে বাংলাদেশে যে উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তাতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভীষণ খুশি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে যে অগ্রযাত্রা শুরু করেছে তাতে প্রবাসীরা আনন্দিত। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে।
ড. ওয়ালী বলেন, বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটি, কলেজ ও স্কুলে যোগ্য শিক্ষকের দারুণ অভাব। অথচ ব্যাঙের ছাতার মতো স্কুল গজাচ্ছে। ২২ বছর বয়সী ম্যাডামও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল হয়ে যান। আমাদের প্রয়োজন যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষক। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। মেডিক্যাল সেক্টর অনেক দেশে এগিয়ে গেছে। কিন্তু নার্সিং এখনও তেমন উন্নত হয়নি। এই সেক্টরকে আরও অনেক উন্নত করতে হবে।
ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন এমবিই মনে করেন কোনো কাজকে ছোট করে দেখা উচিত না। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজের সমষ্টিই বড় কাজ। আবারও বাংলাদেশকে বর্ণনা করেন “বাংলাদেশ একটি অনন্য সুন্দর দেশ। এদেশের মানুষের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পেছনে রয়েছে প্রয়োজনীয় শৃঙ্খলা, ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনার অভাব। দেশের সাধারণ মানুষকে দায়ী না করে তাদেরকে মোটিভেট করতে হবে।
পাঠক, পরিবার মানব সমাজের মৌল ভিত্তি। সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা, অগ্রগতি ইত্যাদি পারিবারিক সুস্থতা ও দৃঢ়তার উপরই বহুলাংশে নির্ভরশীল। যদি পারিবারিক জীবন অসুস্থ ও নড়বড়ে হয়, তাতে ভাঙন ও বিপর্যয় দেখা দেয়, তাহলে সমাজ জীবনে নানা অশাস্তি ও উপদ্রব সৃষ্টি হতে বাধ্য। এ কারণে সমাজ-বিজ্ঞানীরা পারিবারি জীবনের সুস্থতা ও সুষ্ঠুতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন সভ্যতার ঊষাকাল থেকেই।
পারিবারিক ভাবে ড. ওয়ালী একজন সফল সার্থক ব্যক্তিত্ব। ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন ১৯৭৫ সালের সেপ্টেম্বরে সাইদা আক্তার চৌধুরী (হুসনা) এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সাইদা চৌধুরী একজন সমাজসেবক। তাঁদের দীর্ঘ ৩৩ বছরের দাম্পত্য জীবনকে সমৃদ্ধ করে তুলেছেন তাঁদের ২ ছেলে ও ৩ মেয়ে। প্রথম ছেলে শাহান মোঃ এহতেশাম উদ্দিন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, দ্বিতীয় ছেলে আহসান মোঃ সুহান উদ্দিন। মেয়ে হাফিজা আক্তার জলি বিবাহিতা। দ্বিতীয় কন্যা সুহেলী আক্তার যিনি এডিনবরায় বিজনেস এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার হিসেবে কর্মরত। কনিষ্ঠা কন্যা রুহেলী আক্তার কলেজে অধ্যয়ন করছেন।
দেশের বাহিরে বড় হলেও, একজন সফল সার্থক ব্যক্তি হয়ে উঠলেও তিনি দেশকে ভুলেননি। দৃঢ়তার সাথে বলেন, দেশের বাইরে থেকেও দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ জন্মভূমি মাটি এবং মানুষের জন্য কাজ কাজ করা যায়।
প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, আমার সমাজকর্ম দেশ প্রেম অব্যাহত থাকবে আমৃত্যু। ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন এমবিই এর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
নজরুল ইসলাম
জার্নালিস্ট,ওয়ার্কিং ফর ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস NHS, মেম্বার ,দ্যা ন্যাশনাল অটিস্টিক সোসাইটি যুক্তরাজ্য
মন্তব্য করুন