হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
লাখাই উপজেলা বিএনপির সভায় হামলা, লাঠি চার্জ, গুলি বর্ষণ ও ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় আলহাজ্ব জি কে গউছসহ বিএনপির ৪৩ নেতাকর্মী ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন। মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আসামী পক্ষে মামলার শোনানী করেন এডভোকেট আমিনুল ইসলাম, এডভোকেট সুফিয়া আক্তার হেলেন, ব্যারিষ্টার কায়সার কামাল, এডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল, এডভোকেট মোঃ শাহীন আহমেদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এডভোকেট আমিনুল ইসলাম জানান- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছকে প্রধান আসামী করে লাখাই থানায় বিএনপির ৪৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। গত ১৬ নভেম্বর লাখাই থানার এসআই ফজলে রাব্বী বাদী হয়ে পুলিশ এসল্ট ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় আলহাজ্ব জি কে গউছ সহ ৪৩ নেতাকর্মী হাইকোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের ৬ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন।
বিএনপির দলীয় সুত্র জানায়, ১৯ নভেম্বর বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষে গত ১৬ নভেম্বর বিকালে বামৈ বাজারে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ। সভা চলা অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে লাখাই থানার ওসি (তদন্ত) চম্পক ধাম, এসআই দেবাশিষ ও এসআই রাব্বিসহ একদল পুলিশ সভায় অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় আলহাজ্ব জি কে গউছ সহ দলীয় নেতাকর্মীদেরকে প্রায় ২ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিপে, লাঠিচার্জ, চেয়ার ভাংচুর করা হয়। এতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্তত ৫০ নেতাকর্মী আহত হন। আহত নেতাকর্মীদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়। এই ঘটনায় পুলিশ ওই মামলাটি দায়ের করে।
মন্তব্য করুন