হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শিহাব আহমেদ চৌধুরীসহ ১০জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার গ্রেফতারকৃত ১০ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শিহাব আহমেদ চৌধুরী (৪০), নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি এনাম উদ্দিন, নবীগঞ্জ পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মকবুল হোসেন চৌধুরী, দেবপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি বকুল মিয়া, গজনাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি শাহ মুস্তাকিম ও নবীগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন চৌধুরী কনু।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়- মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে সরকার বিরোধী কার্যক্রম করার লক্ষ্যে বিএনপি নেতাকর্মীরা নবীগঞ্জ শহরতলীর হাজারী কমিউনিটি সেন্টারের সামনে সমবেত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে নবীগঞ্জ থানার এস আই গৌতমসহ ৩-৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে শিহাব আহমেদ চৌধুরীসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। এবং ৩টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানার এসআই গৌতম কুমার বাদী হয়ে সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া প্রধান আসামী করে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১২০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে পুলিশের উপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলায় আটককৃত ৪জনকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে গজনাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি শাহ মুস্তাকিম ও নবীগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন চৌধুরী কনুকে গ্রেফতার করেছে।
এ ব্যাপারে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া বলেন- ১৯ নভেম্বর সিলেট বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে মিথ্যা বানোয়াট মামলা করা হয়েছে। আমাদের দলের ১০জনকে নিজ নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি রাতে আমার বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। পুলিশ মামলায় যে ঘটনা উল্লেখ করেছে এ ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমেদ গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান- অপর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন