ডেস্ক রিপোর্ট। দি সিলেট পোস্ট।
পোল্যান্ডের সীমান্তবর্তী এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সৃষ্ট বিস্ফোরণে দুজন নিহত হয়েছেন। পোল্যান্ড ন্যাটোভুক্ত দেশ। ন্যাটোর নীতি অনুযায়ী তাদের সদস্য কোনো দেশের ওপর হামলা হলে প্রতিরক্ষা জোটটির সব দেশের ওপর হামলা হয়েছে বলে গণ্য করা হয় এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। তাই এই হামলা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
পোল্যান্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইউক্রেন সীমান্তবর্তী পোল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রাম সেবোদুফে ‘রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র’ আঘাত হেনেছে।
কিন্তু রাশিয়া এ হামলার দায় অস্বীকার করেছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ জানান, পোল্যান্ডের বিস্ফোরণের বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, যুদ্ধ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য উসকানি তৈরির লক্ষ্যে সচেতনভাবে এ অভিযোগ করা হচ্ছে।
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দজেই ডুডা জানান, কিভাবে বিস্ফোরণটি ঘটেছে তা পরিষ্কার হয়নি এবং তদন্তকারীরা সম্ভাব্য সবকিছু খতিয়ে দেখছেন।
তিনি বলেন, কারা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে এই মুহূর্তে তার কোনো অকাট্য প্রমাণ আমাদের কাছে নেই। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটি সম্ভবত রাশিয়ার তৈরি, কিন্তু এর সবকিছুই এখনও তদন্তাধীন।
এদিকে বুধবার মার্কিন কর্মকর্তাদের প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানায়, রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিলেন ইউক্রেনের সেনারা। সেই ক্ষেপণাস্ত্রই পোল্যান্ডে গিয়ে বিস্ফোরিত হয়।
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে— রাশিয়া থেকে পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়ে থাকতে পারে। এ বিষয়ে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি কিছু বলতে চাই না। তবে মনে হচ্ছে— এটি রাশিয়া থেকে ছোড়া হয়েছে। আমাকে বিষয়টি দেখতে হবে।
তদন্ত শেষে এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় কী হবে তা বিশ্বনেতারা ঠিক করবেন বলে মন্তব্য করেন বাইডেন।
তবে পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় সরাসরি রাশিয়ার ওপর চাপিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
জেলেনস্কি বলেছিলেন, আজ যা ঘটেছে, এ বিষয়ে আমরা আগেই সতর্ক করেছিলাম। আমরা এ নিয়ে বলেছি। সন্ত্রাসবাদ আর শুধু ইউক্রেনের সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটি ইতোমধ্যে মলদোভায় ছড়িয়েছে। আর আজ রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পোল্যান্ডে আঘাত হেনেছে, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের মানুষ নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের মানুষের সমবেদনা নেবেন আপনারা।
মন্তব্য করুন