হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
চুরির কৌশল নির্ধারণ করতে তিন মাস সময় নেন হাফিজুর রহমান। তারপর চম্পট দেন মালামাল নিয়ে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনার আড়াই মাস পর মৌলভীবাজারে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয় চুরি যাওয়া বিভিন্ন মডেলের ১৫ লাখ টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় হাজির করা হয় তাকে। এর আগে বুধবার রাতে মৌলভীবাজার শহর থেকে আলোচিত চোর নবীগঞ্জের বাসিন্দা হাফিজুর রহমানকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত আড়াই মাস আগে চাঁদপুর শহরের হকার্স মার্কেটের মোবাইল মেলা নামে একটি শোরুমে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরের দল চালের টিন কেটে শোরুমে ঢুকে ৮০টি দামি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় মামলা করেন মোরশেদ আলম। সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক শাহরিন হোসেন চোর শনাক্ত ও চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারে তদন্ত শুরু করেন। পরে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোরদলের প্রধান হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেন তিনি। হাফিজুর রহমানের বাড়ি নবীগঞ্জ উপজেলার কামারগাঁও গ্রামে। পেশায় সে রাজমিস্ত্রি। সে চাঁদপুর শহরে থাকতো।
উপপরিদর্শক শাহরিন হোসেন জানান, এই চোরকে শনাক্ত করতে একটানা আড়াই মাস দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাতে হয়। এতে সহকারী উপপরিদর্শক তসলিম হোসেনসহ বেশ কয়েকজন কনস্টেবল সহযোগিতা করেছেন। তবে হাফিজুর রহমান বেশ বুদ্ধিমান চোর। এ কারণে তাকে ধরতে যথেষ্ট কষ্ট করতে হয়েছে।
এদিকে চাঁদপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, চুরির ঘটনা স্বীকার করায় হাফিজুর রহমানকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে পারভেজ নামে আরেক চোরকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ছিলেন হাফিজুর রহমানের সহযোগী। থানার পরিদর্শক আরো জানান, পেশায় রাজমিস্ত্রি হলেও চোরচক্রের প্রধান বেশ কৌশলী চোর। চাঁদপুর শহরের হকার্স মার্কেটের মোবাইলমেলা নামের শোরুমে চুরির আগে তিনি দীর্ঘ তিন মাস শুধু কৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত ছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি সফলও হন। কিন্তু অবশেষে তাকে ধরা পড়তে হলো।
চাঁদপুর মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি আলমগীর হোসেন আলম বলেন, অনেক চেষ্টার পর এই চোরচক্রের মূলহোতাকে আটক করায় মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা স্বস্তিতে আছেন।
মন্তব্য করুন