এ ব্যপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গ্রামের মৃত প্রফুল্ল চন্দ্র দাস’র পুত্র বাবুল চন্দ্র দাস।
অভিযোগে তেলঘড়ি গ্রামের আকিল চন্দ্র চৌধুরীর পুত্র রানু চৌধুরী, মৃত ভালচান চৌধুরীর পুত্র নিপেন্দ্র চন্দ্র চৌধুরী ও দীগেন্দ্র চন্দ্র চৌধুরী, হরেন্দ্র চন্দ্র চৌধুরীর পুত্র সজল চৌধুরী, রামজয় দাস’র পুত্র উমেশ চন্দ্র দাস এবং অকিল চৌধুরীর পুত্র বেনু চৌধুরীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১শ থেকে দেড়শত জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিবাদীগণ এলাকার প্রভাবশালী লোক। তারা এলাকার নিরীহ লোকজনকে বিভিন্নভাবে নিপীড়ন-নির্যাতন করে থাকে। তাদের অবাধ্য হলে সামাজিকভাবে হেনস্তাসহ অপমান-অপদস্ত করে থাকে। বাদীসহ শ্যামচরণ দাস, রুবেল চন্দ্র দাস বিবাদীদের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করলে তাদেরকে গ্রামছাড়া করার হুমকি দেয়।
বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে বিবাদীদের কথামতো চাঁদা না দিলে তাদেরকে নির্যাতন করা হয়। ইদানিং বিবাদীরা আত্যাচার-উৎপীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়ায় তারা সামাজিকভাবে কোনঠাসা হয়ে পড়ে। প্রায় ২ বছর পূর্বে গ্রামের রুবেল দাসের বিয়ের অনুষ্ঠানে বিবাদীদেরকে দাওয়াত না দেয়ায় তাকে সমাজচ্যুত করা হয়।
এছাড়া গ্রামের শ্যামচরণ দাসের দখলে থাকা নিজবাড়ী সংলগ্ন সরকারি ভূমি তার বাঁধার কারণে বিবাদীরা দখল করতে না পারায় তাকেও সমাজচ্যুত করা হয়।
বাদীর বাড়ীর সামনে তার ভোগদখলে থাকা সরকারী খাস জায়গা থেকে বিবাদীরা বাদীকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় তাকেও সমাজচ্যুত করা হয়েছে। যাদেরকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে তাদের সাথে এলাকার লোকজনের চলাফেরা, কথাবার্তা বলাসহ সবধরণের সামাজিক যোগাযোগ বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
বিবাদীদের নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের সাথে এলাকার কেউ ভয়ে কথাবার্তা বলার সাহস পান না। এ অবস্থায় সমাজচ্যুতরা সামাজিকভাবে কোনঠাসা হয়ে রয়েছেন। বাজার-সওদা করার জন্য তাদেরকে দূরবর্তী মার্কুলী কিংবা আজমিরীগঞ্জ যেতে হয়।
বিবাদীদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় রুবেল দাসকে গ্রামছাড়া করা হয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে রুবেল দাসকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে গিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে বসবাস করতে হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত নাম্বারটি ব্যস্ত থাকায় তা সম্ভব হয়নি ।
ReplyForward |
মন্তব্য করুন