আঃজলিল, স্টাফ রিপোর্টারঃ–
যশোর ডিবি পুলিশ চোরাই তিনটি মটর চালিত ভ্যান উদ্ধার করেছে। একই সাথে চুরির অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে। এই ঘটনায় আটক তিনজনসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আটক তিনজন হলো, মণিরামপুরের তাহেরপুর গ্রামের মৃত ইসহাক বিশ্বাসের ছেলে গোলাম রসুল (২৫), মোহানপুর গ্রামের সরোয়ার মোল্লার ছেলে আল-আমিন মোল্লা (৩৮) এবং রামপুর বেলতলা গ্রামের মৃত ফজলুল করিমের ছেলে হারুন অর রশিদ (৫৫)। এছাড়া সাইদুল (৪০) নামে আরো একজন পলাতক আসামি আছে।
সদর উপজেলার করিচিয়া গ্রামের শাহিনুর রহমান (৭৩) কোতয়ালি থানায় দায়েরকরা এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তিনি ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত ৮ আগস্ট তার ছেলে ইমামুল ইসলাম (২২) ভ্যানটি নিয়ে চালানোর জন্য বের হয়। ওই দিন বেলা সাড়ে ১২টারদিকে পুলেরহাট থেকে তিনব্যক্তি কিছু মালামাল নিয়ে মনিহার এলাকায় যাওয়ার জন্য ৫শ টাকা ভাড়ার চুক্তি করে।
সে মোতাবেক ইমামুল ভ্যাননিয়ে মনিহার প্রেক্ষাগৃহ এলাকার ফলপট্টিতে যায়। বেলা ১টার দিকে দুইজন ইমামুলকে নিয়ে একটি গলির মধ্যে যায়। এরপর তাকে বলা হয় ভ্যানে বসা লোকটিকে ডেকে নিয়ে আসতে। ইমামুল ভ্যানের কাছে গিয়ে দেখেন ভ্যানটি নেই। সে সময়ই গলির মধ্যে গিয়ে দেখে লোক দুইজনও নেই। পরে অনেক খোঁজাখুুজির পর ভ্যান না পেয়ে ইমামুল বাড়ি ফিরে যায়।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার তফসীডাঙ্গা এলাকার চিড়ার মিলের সামনে দুইজনসহ তার ভ্যানটি দেখে তিনি (শাহিনুর) চিনতে পারেন। সে সময় আশেপাশের লোকজন ডেকে দুইজনকে আটকে ডিবি পুলিশকে সংবাদ দেয়। ডিবি পুলিশে সেখানে গিয়ে ভ্যানসহ দুইজনকে আটক করে। এরা হলো, গোলাম রসুল ও আল-আমিন মোল্লা।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মনিরামপুরে অভিযান চালিয়ে হারুন অর রশিদকে আটক করে। সেখান থেকেও আরো দুইটি চোরাই ভ্যান জব্দ করা হয়। তারা স্বীকার করে যে এই চক্রের সাথে সাইদুল নামে আরো একজন জড়িত আছে। তবে তার নাম ঠিকানা বলতে পারেনি তারা।
মন্তব্য করুন