ডেস্ক রিপোর্ট। দি সিলেট পোস্ট।
রাজধানীর ডেমরায় র্যাব-৩ এর অভিযানে মানবপাচার চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শাহাদাত নামের এক যুবককে চাকরির ভিসায় দুবাই পাঠানোর কথা বলে টুরিস্ট ভিসায় পাঠিয়ে আটক রেখে নির্যাতন ও মুক্তিপণ দাবি করার অপরাধে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- ডেমরার রেবেকা স্বরণীর সুজন ঢালির ভাড়াটিয়া ও কুমিল্লার মুরাদনগর থানার মির্জাপুর গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে মো. কবির চৌধুরী (৩৮) এবং ডেমরার পশ্চিম বক্সনগর এলাকার মৃত সাহেব আলী মোল্লার ছেলে মো. ইমরান মোল্লা (৩৩)।
বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠায় ডেমরা থানা পুলিশ। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গতকাল (মঙ্গলবার) বিকালে সারুলিয়া রানীমহল সংলগ্ন রেবেকা স্বরণী ও পশ্চিম বক্সনগর এলাকায় বাসার নিচ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার ফকিরনির হাট এলাকার মো. সিদ্দিক আহম্মেদের ছেলে মো. জানে আলম (৪০), কুমিল্লার দেবীদ্বার থানার মো. অহিদুর রহমানের ছেলে মো. জাহিদ (২৮) ও একটি বেসরকারি ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মালিক মো. কামরুল হাসানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জন পলাতক রয়েছেন। এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাতেই ডেমরা থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর বাবা মো. তালেব।
মামলার বাদী ও র্যাব-৩ এর বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার ওসি মো. শফিকুর রহমান বলেন, বাদীর কাছ থেকে গত বছর মার্চে দুবাইয়ে ফাইভস্টার হোটেলে ২২ হাজার দিরহামে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা নেন গ্রেফতার কবির ও ইমরান মোল্লা। পরে টুরিস্ট ভিসায় দুবাই গেলে সেখানে ওই চক্রের অন্যান্যরা শাহাদাতের পাসপোর্ট নিয়ে তাকে আটকে রেখে নির্যাতন শুরু করে ও মুক্তিপণ দাবি করতে থাকে। এ ঘটনায় বাদী দুই দফায় তাদের (আসামিদের) ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিলেও বর্তমানে শাহাদাতের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই পরিবারের লোকজনের।
মন্তব্য করুন