কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে উপজেলা সম্মিলিত শিক্ষক পরিষদের উদ্যোগে বিশ^ শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা, শিক্ষক সমাবেশ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শনিবার সকাল ১১টায় কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে এক শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রা শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে শিক্ষক সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপব মো: রফিকুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট এমসি কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সাইয়্যিদ মুজীবুর রহমান। প্রধান আলোচক ছিলেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মানবিক অনুষদ এর ডিন ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ। মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সাবেক পরিচালক, ভাষাবিজ্ঞানী ড. সেলু বাসিত। “শিক্ষকদের দিয়ে শিক্ষার রুপান্তর শুরু” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারের বিশ^ শিক্ষক দিবস উপলক্ষে গুরুত্বারোপ করা হয়।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা সম্মিলিত শিক্ষক পরিষদের সদস্য সচিব প্রভাষক সেলিম আহমদ চৌধুরী ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রামভজন কৈরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল, আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো: হেলাল উদ্দিন. উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামছুন্নাহার পারভীন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা সম্মিলিত শিক্ষক পরিষদের আহবায়ক লেখক-গবেষক আহমদ সিরাজ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটলেও শিক্ষার গুণগত মান অনেক নিচে অবস্থান করছে। এক্ষেত্রে শিক্ষক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। যথাযথ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজের সম্মান, মর্যাদা উঁচুমাত্রায় রাখতে হবে। শিক্ষার জন্য সর্ব্বোচ্চ বিনিয়োগ বা বরাদ্দ আজ বড় প্রয়োজন। কিন্তু আমাােদর দেশে বাজেট প্রণয়ণে তা লক্ষ্য করা যায় না। মানসম্মত প্রশিক্ষষের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে শিক্ষকদের মানব সম্পদ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে সময়কে ধারণ করা জরুরী। শিক্ষার সার্বজনীন বিজ্ঞান মনস্ক, সহিষ্ণু, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও সাংস্বৃতিক বিকাশে তাদের সকর্মক অবদান নি:সন্দেহে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। প্রবৃদ্ধি সুচকের সাথে সাথে জাতিগত আত্মমর্যাদায় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার সচেতনতা সৃষ্টি করে মুক্তিযুদ্ধের আকাংখার অসাম্প্রদায়িক সমাজ-শিক্ষা এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ আজকের সময়ের প্রত্যাশা।
মন্তব্য করুন