দুর্ঘটনার চরম আশংকা….
তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ, জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ-সেলিমগঞ্জ সড়কে চানপুর ব্রীজ এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়ে।যে কোন মুহূর্তে চরম দুর্ঘটনার চরম আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
ওই ব্রীজে সংযোগে এপ্রোচের মাটি ধসে যাওয়ায় যাত্রীরা সড়কে চলছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। ওই ভাঙা স্থান দিয়েই প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এই সড়কে হাওর পাড়ের চার উপজেলা ধর্মপাশা- জামালগঞ্জ- মধ্যনগর ও মোহনগঞ্জ এলাকার লাখো যাত্রী আসা যাওয়া করেন প্রতিনিয়তই । উল্লেখিত উপজেলাগুলো সিলেট ও সুনামগঞ্জ সদরের সাথে চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। স্থানীয় বাসিন্দারা এই প্রতিবেদককে জানান, এই ব্রিজের এপ্রোচে প্রতিবছর এই নয়-ছয় করে কাজ করা হয়। যার কারণে বৃষ্টি হলেই ধসে যায় এখানে কার মাটি এই । মাটি ধসে বড় গর্তের সৃষ্টি হয় এবং যানবাহনে চলাচল করে মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। অতিবৃষ্টিতে এই ব্রিজের এপ্রোচের মাটি সরে গিয়েছিল। সরকারী টাকায ঠিক মত কাজ না করায় এমন দশা হয় তাদের বলে জানান তারা। স্থানীয়দের দাবি দ্রুত এপ্রোচ মেরামত করে চলাচলের সুব্যবস্থা করে দিতে।
স্থানীরা জানান, পাশের ধর্মপাশা উপজেলার বাসিন্দাদের জেলা শহরে সড়কপথে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। তা ছাড়া ফেনারবাঁক ইউনিয়নের একাংশ ও জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর, লালপুর, কালাগুজা, কাশিপুর, মান্নানঘাট বাজার, ইউসুফনগর, সেলিমগঞ্জ বাজার, রামপুর, শরীফপুর, ভুতিয়ারপুর, গজারিয়া বাজার, গোলকপুর বাজার, বাবুপুর, আলীপুরসহ শতাধিক গ্রাম এবং একাধিক বাজারের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম এই সড়কটি।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলা সদর থেকে মান্নাঘাট বাজার যাওয়ার সড়কের চাঁনপুরে ব্রীজে সংযোগ সড়কের উভয় পাশ ভেঙে গেছে। ভাঙা অংশে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। যেকোনো সময় গাড়ি উল্টে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরা জানান, গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় মেরামত করা হচ্ছে না। উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নজরদারি নেই বললেই চলে। সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম অংশে প্রথমে ভাঙন কম দেখা দিলেও বর্তমানে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
অটো রিকশা চালক রুবের বলেন, ‘গাড়ি চালাতে গিয়ে এই ভাঙা অংশে একাধিকবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছি। পথচারী আব্দুল বাছিত বলেন, যত বড় গর্ত হইছে, যে কোন মুহূর্তে শুধু গাড়িই না মানুষ এখান পইড়া মরতে পারে। এটা দেখার কেউ নাই। বৃষ্টি হইলেই এই জায়গা ধসি যায়, কয়দিন পরে পরে কাজ করে, কী কাজ করে ঠিকমতো বুঝিনা। ঠিকমত একবার কাজ করলে সারা বছরের লাগিনি আমরা নিচিন্তা হইতাম। দ্রুত এইটি মেরামত করা হোক।’ না হয় আমরার আয়ু থাকতে মরণ হইবো। মোটর সাইকেল চালক জুবায়ের বলেন, ‘এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই আমি যাত্রী নিয়ে চলাচল করি। এই ভাঙ্গা জায়গায় আইলে মনটা কেমন কেমন করে। কোন দিন কোন সময় কার জীবন শেষ হয় আল্লাহ মাবুদ জানে।
কাঁচামাল ব্যবসায়ী রফিক মিয়া বলেন, বেশ কয়েক দিন হয়েছে চাঁনপুরের ব্রীজটির সংযোগ ভেঙে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরাতো চলাফেরা করি পেট বাচানোর লাগি আসলে আমাদের চলাফেরার কোন নিরাপত্তা নাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আনিসুল হক বলেন, ‘সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়ে পরিদর্শন করেছি। এক পাস মোটামুটি মেরামত হয়ে গেছে। বাকীটা আজকালের মধ্যেই দ্রুত মেরামত করা হবে।
মন্তব্য করুন