ডেস্ক রিপোর্টঃ
সুনামগঞ্জ অঞ্চলে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। পাহাড়ি ঢল ও বন্যার পানি ছাতক ও সুনামগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্রে প্রবেশ করায় নিরাপত্তার স্বার্থে ওই গ্রিড উপকেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে। উপকেন্দ্র বন্ধ থাকায় ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের ফলে সিলেটের কুমারগাঁও উপকেন্দ্র ঝুঁকির মধ্যে আছে। যেকোনো সময় এই উপকেন্দ্রও বন্ধের প্রয়োজন হতে পারে। ফেঞ্চুগঞ্জ, বিবিয়ানা, বিয়ানীবাজার ও শ্রীমঙ্গল এলাকায় বন্যার পানি মারাত্মক না হওয়ার ফলে ওইসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এবং স্থাপনার দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে যাবতীয় সতর্কতাম‚লক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ ও ২-এর জেনারেল ম্যানেজার দীলিপ চন্দ্র চৌধুরী ও সঞ্জীব কুমার রায় জানান, সমিতির সিলেট-১-এর অধীনে থাকা ৪ লাখ ১৩ হাজার গ্রাহকের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার গ্রাহক এবং সিলেট-২-এর অধীনে থাকা ২ লাখ ১২ হাজার গ্রাহকের মধ্যে অন্তত ৯০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন আছেন।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বন্যার অবনতি হওয়ায় অনেক স্থানেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। সিলেট নগরের কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের ভেতরেও বন্যার পানি ঢুকেছে। নিয়ন্ত্রণকক্ষ ছুঁইছুঁই করছে বন্যার পানি। পানি বেড়ে নিয়ন্ত্রণকক্ষের ভেতরে ঢুকলে সিলেট জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল কাদির বলেন, বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। যদি আরও দুই থেকে তিন ঘণ্টা এমনভাবে চলে, তাহলে নিয়ন্ত্রণকক্ষে পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা আছে। এতে পুরো সিলেট জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
মন্তব্য করুন