ডেস্ক রিপোর্ট। দি সিলেট পোস্ট।
সিলেট নগরী থেকে ৯০ শতাংশ বন্যার পানি নেম গেছে। বাসাবাড়ি, ব্যবসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়া পানিও আর নেই। তবে নিম্নাঞ্চলের কিছু সড়ক ও বাসাবাড়িতে এখনো পানি রয়ে গেছে।
এদিকে বাসাবাড়ি, ব্যবসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানি নামার পর থেকে বালুযুক্ত ময়লায় চরম দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। একই সঙ্গে পানিতে ভিজে আসবাবপত্রের ক্ষতি হয়েছে। তাই বাসা ও ক্লাসরুম ও দোকানপাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছেন সংশ্লিষ্টরা। এরপরও থেমে নেই স্বাভাবিক জীবনের ফেরার যুদ্ধ।
শনিবার (২১ মে) বিকেলে নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। নগরের নবাব রোড এলাকার আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শ্রেণিকক্ষ থেকে পানি নেমে গেছে। এখন স্কুলটি ধোয়ামোছার কাজ চলছে।
সিলেট নগরী থেকে ৯০ শতাংশ বন্যার পানি নেমে গেছে। বাসাবাড়ি, ব্যবসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়া পানিও আর নেই। তবে নিম্নাঞ্চলের কিছু সড়ক ও বাসাবাড়িতে এখনো পানি রয়ে গেছে।
এদিকে বাসাবাড়ি, ব্যবসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানি নামার পর থেকে বালুযুক্ত ময়লায় চরম দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। একই সঙ্গে পানিতে ভিজে আসবাবপত্রের ক্ষতি হয়েছে। তাই বাসা ও ক্লাসরুম ও দোকানপাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছেন সংশ্লিষ্টরা। এরপরও থেমে নেই স্বাভাবিক জীবনের ফেরার যুদ্ধ।
শনিবার (২১ মে) বিকেলে নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। নগরের নবাব রোড এলাকার আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শ্রেণিকক্ষ থেকে পানি নেমে গেছে। এখন স্কুলটি ধোয়ামোছার কাজ চলছে।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, বন্যার পানি নেমে গেলেও যে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করতে কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। একাধিক কর্মচারী কাজে লাগানোর পরও মনে হচ্ছে বিদ্যালয়টি পুরোপুরি পরিষ্কার করতে দুদিন লেগে যাবে। এছাড়া পর্যাপ্ত ব্লিচিং পাউডারও পাওয়া যাচ্ছে না।
ঘাসিটুলা এলাকার কয়েকটি বাসাবাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, রেবেকা নামের এক গৃহকর্মী ব্লিচিং দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে ঘরের মেঝে (ফ্লোর) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছেন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ এক সপ্তাহ বাসাটি পানির নিচে ছিল। এখন পানি নেমে যাওয়ার পর এমন দুর্গন্ধ হয়েছে নাক-মুখ ঢাকা ছাড়া উপায় নাই। বন্যায় এমন দুভোর্গের কথা কোনোদিন ভুলা যাবে না।’
এ সময় বাসার গৃহবধূ বলেন, ‘বাসাবাড়ি জীবাণুমুক্ত করতে বেশি করে ব্লিচিং পাউডারের প্রয়োজন। তবে এলাকার ১০ থেকে ১২টি দোকান ঘুরে ব্লিসিং পাউডার পাওয়া যায়নি। পরে বাসা থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে কাজিরবাজারের একটি দোকান থেকে সামান্য পাউডার এনেছি।’
ওসমানী মেডিকেল রোডের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এ বন্যার ক্ষত পরিষ্কারের জন্য ব্লিচিং পাউডার লাগছে বেশি। তাই দোকানগুলোতে ব্লিচিং পাউডারের সংকট দেখা দিয়েছে। আজকে বেশ কয়েকজন ব্লিচিং পাউডারের জন্য এসেছিলেন কিন্তু দিতে পারিনি।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, নগরের বেশিরভাগ বাসাবাড়ি থেকে পানি নেমে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা লোকজনও নিজ নিজ বাসাবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। এভাবে পানি কমতে থাকলে রোববারের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খালি হবে বলে আশা করছি।
এদিকে সিলেটের প্রধান নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি আরও কমেছে। সুরমা নদীর পানি শুক্রবারের চেয়ে শনিবার দুটি পয়েন্টেই কমেছে। কুশিয়ারার পানি দুটি পয়েন্টে বাড়লেও অন্য দুটি পয়েন্টে কমেছে। লোভা, সারি ও ধলাই নদীর পানিও কমেছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, পানি কমতে শুরু করলেও সুরমা ও কুশিয়ারার পানি এখন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। পানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে দুয়েক দিনের মধ্যেই বিপৎসীমার নিচে নেমে আসবে।
সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির জাগো নিউজকে বলেন, বরইকান্দি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, শাহজালাল উপশহরে একটি পিডারের নিচ থেকে পানি নেমে গেছে। ওই এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে।
মন্তব্য করুন