ডেস্ক রিপোর্ট। দি সিলেট পোস্ট
প্রতিপক্ষের ছুলফির আঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অরুণা খাতুন (৪৬) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ভোররাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই মহিলা চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। নিহত নারী উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের উমেদ আলীর স্ত্রী।
মঙ্গলবার স্থানীয়ভাবে ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রসুলপুর গ্রামের পরাজিত ইউপি সদস্য নবী হোসেনের সমর্থকদের সঙ্গে নির্বাচনকেন্দ্রিক পূর্ব বিরোধের জের ধরে গ্রামের রজব আলীর ছেলে গোলাম হোসেনের নেতৃত্বে গোলাম হোসেনের বাড়ির সামনে একই গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে ফরিদকে আটক করে সোমবার দুপুরে মারপিট করেন প্রতিপক্ষের লোকজন।
খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ফরিদকে উদ্ধারে ঘটনাস্থলে গেলে প্রতিপক্ষ গোলাম হোসেনের নেতৃত্বে থাকা ২০-২২ জনের একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ ফের দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে ফরিদ ও তার পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা চালায়।ওই হামলার কৃষক ফরিদ নিহত ও তার সহোদর ভাই আহত হন।
এ ঘটনার রেশ ধরে নিহত ফরিদের পরিবার ও স্বজনরা সংঘবদ্ধ হয়ে সোমবার সন্ধার পরপরই প্রতিপক্ষের ঘর বাড়িতে হামলা ভাংচুর লুপাট চালায়।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার লাকমা গ্রামের বাসিন্দা নিহত মহিলার সহোদর ভাই হাছেন আলী জানান, উপজেলার রসুলপুরে বিভিন্ন বাড়িতে হামলা ভাংচুরের সময় কমপক্ষে ২০ টি গরু লুটে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। বাঁধা দিতে এলে বাড়িতে থাকা উমেদ আলী স্ত্রী অরুণা খাতুনকে ধারাল ছুলফি (সেল) দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে রাতে তাকে প্রথমে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মধ্যরাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে নিয়ে ভর্তি করা হলে মঙ্গলবার ভোররাতে অরুণা খাতুন মৃত্যুবরণ করেন।
তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, সিলেট কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ হেফাজতে নিহত নারীর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর ওসমানীতেই ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। অভিযোগ পেলেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
মন্তব্য করুন