বানিয়াচং (প্রতিনিধি) হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সৈদ্যাটুলা ছান্দের আদিপত্যকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ নেতা ও বানিয়াচং ২নং উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া ও এডভোকেট নজরুল ইসলাম খানের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে বন্দুকের গুলিতে ৫০জন আহত হয়েছেন বলে এডভোকেট নজরুল ইসলাম খান জানান।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ৫ই মে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ঘটিকা থেকে দুপুর ১২ঘটিকা পর্যন্ত দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া তাহার লাইসেন্সকৃত বন্দুক দিয়া ছয় রাউন্ড গুলি ছুড়ে বলে জানান এডভোকেট নজরুল ইসলাম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। বন্দুকের গুলিতে আহত হন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার খান, মওদুদ মিয়া, খালেদ মিয়া, ইসমাইল মিয়া, মোতালিব মিয়া, আবজল মিয়া, নিরব মিয়া, মোয়াজ্জেম মিয়া, নুর হোসেন, শুকুর মিয়া সহ ৫০জন। আহতরা পুলিশি গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এদিকে টেটাবিদ্ধ বাচ্চু মিয়াকে গুরুতর আহত অবস্তায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু’পক্ষের কাউকেই বক্তব্য নেওয়ার জন্য পাওয়া যায় নাই।
সংঘর্ষে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকাবাসী জানান সৈদ্যারটুলা ছান্দের মালিকানাধীন লক্ষী বাওর সোয়াম্প ফরেষ্ট ও বিভিন্ন জলমহাল রয়েছে। এ সব থেকে বছরে কোটি টাকা আয় হয়।। যিনি সর্দার থাকেন তিনি এসব দায়িত্ব পালন করেন।। মূলত এ বিষয় নিয়েই হানাহানীর সূত্রপাত। বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ ইমরান হোসেন জানান খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দাঙ্গা থামাতে ১ শত ৪৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২৪ রাউন্ড টিয়ার সেল ছুড়ে পরিস্হি নিয়ন্তে আনেন। সংঘর্ষে ১২ জন পুলিশ আহত হন এবং ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাস্থলেপুলিশ টহল দিচ্ছে।
মন্তব্য করুন