ডেস্ক রিপোর্ট। দি সিলেট পোস্ট
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি মৌলভীবাজার। ঈদের ছুটিকে আনন্দময় করে তোলার জন্য এ জেলায় রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান।
করোনা মহামারির কারণে গেল দুই বছর ঈদের ছুটিতে পর্যটন স্পটগুলো অনেকটাই বন্ধ ছিল। ইচ্ছা থাকার পরও পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসতে পারেননি অনেকে।
দীর্ঘ বন্ধের পর এ বছর পর্যটন স্পটগুলো পুরোপুরি খুলে দেওয়া হয়েছে। তাই জেলার পর্যটন স্পটগুলো ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
পর্যটক ব্যবসায়ীরা হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ ও রিসোর্ট প্রস্তুত করে রেখেছেন। এবার লোকসান পুষিয়ে নিতে চান তারা।
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় টিলাঘেরা সবুজ চা বাগান, খাসিয়াপল্লি, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওড়, দেশের সর্ববৃহৎ জলপ্রপাত মাধবকুন্ড, কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক, ঝর্ণাধারা হামহাম জলপ্রপাত, মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জি, শিল্পকলা সমৃদ্ধ মণিপুরী, শ্রীমঙ্গলের নীলকণ্ঠের সাত রংয়ের চা, আন্তর্জাতিকমানের হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান, চা গবেষণা কেন্দ্র, কুলাউড়ার ঐতিহ্যবাহী নবাববাড়ী, মুরইছড়া ইকোপার্ক, গগণঠিলা, দোলন চাপা ইকোপার্ক, মৌলভীবাজার সদরের বর্ষিজোড়া ইকোপার্ক, মুন ব্যারেজ ও রাজনগরের কমলারানীর দীঘি পর্যটকের মন জুড়াবে।
যাতায়াত: ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে শ্রীমঙ্গল ও কুলাউড়া স্টেশনে নামতে হবে। বাসে আসলে শ্যামলী, রূপসী বাংলা, এনা, সাদ্দাম. রুপালী বাংলা পরিবহণে এসে শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার ও কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা উপজেলায় নামতে পারেন।
এরপর বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা ট্যাক্সিতে করে পর্যটন স্পটগুলোতে যাওয়া যায়। প্রতিটি পর্যটন স্পটে পর্যটন গাইডও রয়েছে।
এবার ব্যতিক্রমী হিসেবে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে শুধুমাত্র পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ উপযোগী বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
যেখানে থাকবেন: থাকা-খাওয়ার জন্য শ্রীমঙ্গলে ফাইভ স্টার হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান অ্যান্ড গলফ, কুলাউড়া উপজেলায় সিআরপি রেস্ট হাউজ, মৌলভীবাজার সদরের দুসাই রিসোর্ট, গগণঠিলাসহ স্থানীয় সব উপজেলাগুলোতে সব শ্রেণির মানুষের জন্য অর্ধশতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টের ব্যবস্থা আছে।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, পর্যটন স্পটে যাতে কোনো পর্যটন হয়রানির শিকার না হন সেজন্য স্পটগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
মন্তব্য করুন