ডেস্ক রিপোর্ট। দি সিলেট পোস্ট
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই- ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী বিএনপির কেউ নয়। উনি যা বলেছেন- তা উনার নিজস্ব বক্তব্য। নির্বাচন বিষয়ে তিনি বিএনপির পক্ষে কথা বলার কেউ নন।
সোমবার দুপুরে বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং টিসিবির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে সর্বত্র পণ্য সরবরাহের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের তীব্র সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তারা ২০০৮ সালে নির্বাচনের সময় ঘরে ঘরে গিয়ে বলেছিল জনগণকে ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। কিন্তু আজ চালের দাম ৭০ টাকা কেজি। বলেছিল ঘরে ঘরে চাকরি দেবে, কিন্তু দেয়নি। এটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগ।
‘জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ভোটটা নেয়। ভোট পাওয়ার পর ক্ষমতায় বসে জনগণকে এক লাথি মেরে দেয়। যতবার ক্ষমতায় গেছে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজ আমার মায়ের মুখে হাসি নেই কেন, কেন আজ আমার ভাইয়েরা ধানের ন্যায্য মূল্য পায় না। কেন আজ ২০০ টাকায় তেল কিনতে হয়। কারণ সবই আওয়ামী লীগের প্রতারণা।’
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, রাস্তা বানাতে আমাদের দেশে যা খরচ হয়, তা পৃথিবীর কোথাও এত টাকা খরচ হয় না। এরা নিজেরা নিজেদের পকেট ভারি করছে, লুট করছে এবং সেই লুটের টাকা দিয়ে বিদেশে বাড়ি করছে। দেশে উন্নয়নের নামে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। আর দুর্নীতি দমন কমিশন দুই-একটা চুনোপুঁটি ধরে বলে আমরা ধরেছি। কিন্তু বোয়াল মাছ যারা, যারা সব মাছ খেয়ে ফেলছে, তাদেরকে ধরতে পারে নাই। অন্যদিকে শেয়ার মার্কেট দুর্নীতি সম্পর্কে ততকালীন অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেব বলেছিলেন, তাদের হাত অনেক লম্বা তাদের ধরা যায় না।
এ সময় টিকা নিয়েও সমালোচনা করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘করোনা টিকা নিয়ে প্রথম দিকে তেলেসমাতি কারবার শুরু করেছিল সরকার, একজন সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে টিকা কিনতে দিয়ে দুর্নীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে।’
ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শরিফুল ইসলাম। সঞ্চালনায় ছিলেন ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির জেষ্ঠ আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব ও যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেস আলী মামুন ও সহ-সাংগঠনিক শরীফুল আলম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন