ডেস্ক রিপোর্ট। দি সিলেট পোস্ট।
একদিকে মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রকোপ; অন্যদিকে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এই পরিস্থিতিতে দুই বছরের বেশি সময় ধরে চরম বিপাকে স্বল্প আয়ের মানুষগুলো। সম্প্রতি তেল-গ্যাসের দাম বাড়ায় আরও চাপে পড়েছেন তারা। গত সপ্তাহে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় মানুষগুলোর ওপর আঘাত করেছে ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন দামের কারণে অনেকে খাবার খাওয়ার পরিমাণও কমিয়ে দিয়েছেন। এরপরও টানতে পারছেন না খরচের লাগাম। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, অনেকের পক্ষে সংসারের খরচ চালানোই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
সরকারি হিসাবেই গত এক সপ্তাহে প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। খোলা আটার দাম ১ দশমিক ৪৫ এবং প্যাকেটজাত আটার দাম ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। প্যাকেট ময়দার দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৭ শতাংশ। পাম তেলের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ। গত এক সপ্তাহে ডিম, চিনি, ব্রয়লার মুরগি, গরুর মাংস, জিরার দামও বেড়েছে বলে টিসিবির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
আরো পড়ুনঃ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা
সরকারি প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছরে সরু চালের দাম ৪ দশমিক ৯২ এবং মোটা চালের দাম ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়েছে। প্যাকেট আটার দাম বেড়েছে ২৭ দশমিক ৯৪ এবং খোলা আটার দাম বেড়েছে ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ। ৩৫ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়েছে খোলা ময়দার দাম।
এমন অস্বাভাবিক দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে সয়াবিন তেল ও পাম অয়েলও। এক বছরে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ, পাম তেলের দাম বেড়েছে ৩৯ দশমিক ১৫, বড় দানার মসুর ডালের দাম বেড়েছে ৪৪ দশমিক ৪৪, অ্যাংকর ডালের দাম বেড়েছে ১৫ দশমিক ২৯ ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ।
মন্তব্য করুন