নূরুজ্জামান ফারুকী হবিগঞ্জ থেকে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের তফশিল অনুযায়ী নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের আগামী ২৮ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষ করে উপজেলার ৫নং আউশকান্দি ইউপির নির্বাচন নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে সর্বত্র। কারন ঐ ইউনিয়নের নির্বাচন কে সামনে রেখে সীমানা নির্ধারণ জটিলতা দেখিয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদনের মাধ্যমে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন নির্বাচন স্থগিতের চেষ্টা চালান। তিনি এবিষয়ে কয়েকজনের স্বাক্ষর জাল করে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ে আবেদন পাঠান। এবিষয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ এনে পাল্টা আবেদন করেন সুজন মিয়া গংরা। এ নিয়ে এলাকায় শুরু হয় তোলপাড়। আরো গুজব রটানো হয় আউশকান্দি ইউপি নির্বাচন হবে না! গতকাল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন তফশিলে আউশকান্দি ইউনিয়নের নাম থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্র এনিয়ে মুখরোচক আলোচনা শুরু হয়।
জানাযায়, ২৮ ফেব্রুয়ারী আউশকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন বাদী মহামান্য হাইকোর্টে বিচারপতি মুজিবুর রহমান ও কামরুল হোসাইনের আদালতে রিট পিটিশন করেন। তিনি সীমানা জটিলতা দেখিয়ে ঐ ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিতের জন্য আবেদন করেন। এর পরে তিনি আউশকান্দি ইউনিয়নের দ্বীঘর ব্রাহ্মন গ্রামের সাধন সুত্র ধর,আব্দুল আলী, ছমেদ উল্লাহ,সুশীল সুত্রধর ও নাসির মিয়া সহ জনের স্বাক্ষর করেছেন মর্মে একখানা আবেদন স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে পাঠান। পরবর্তীতে ঐ স্বাক্ষরকারী ব্যক্তিগন কোর্টে এফিডেভিটের মাধ্যমে জানান তাদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। এফিডেভিটের মাধ্যমে তারা বলেন, ইউনিয়নের নির্বাচন বানচালের জন্য তাদের স্বাক্ষর জাল করে আবেদন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে দ্বীঘর ব্রাহ্মন গ্রামের সাধন সুত্রধর বলেন, আমার নির্বাচন বানচাল করার জন্য স্বাক্ষর জাল করে মন্ত্রনালয়ে একটি আবেদন করা হয়। এ আবেদনে আমি স্বাক্ষর করা তো দুরের কথা আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ নির্বাচন অফিসার দেব শ্রী দাশ পার্লিন বলেন, আউশকান্দি ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত করার জন্য অফিসিয়াল কোন আদেশ আসে নাই। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের নির্বাচন যথা সময়ে হবে।স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী শাহনেয়াজ মিলাদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম এক ডিও লেটারে মাধ্যমে মন্ত্রনালয়কে জানান দিঘর ব্রাহ্মন গ্রামকে নিয়ে কোন জটিলতা নেই। তাই যথা সময়ে উক্ত ইউনিয়নের নির্বাচন করার জন্য তারা অনুরোধ করেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী শাহনেয়াজ মিলাদ বলেন, আউশকান্দি ইউনিয়নের নির্বাচন নিয়ে জটিলতা তৈরী করা হয় উদ্দেশ্যমুলক ভাবে। আমার নির্বাচনী এলাকার দিঘর ব্রাহ্মন গ্রামের মধ্যে কোন উত্তেজনা বা সীমানা নিয়ে বিরোধ নেই।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে নির্বাচন স্থগিতের জন্য কোন নির্দেশনা নেই । চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো তদন্ত চলছে।
মন্তব্য করুন