সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় রাজশাহী রিপোর্টার্স ইউনিট’র অস্থায়ী কার্যালয়ে এ জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজশাহী রিপোর্টার্স ইউনিট’র সভাপতি এসএম আব্দুল মুগনী নীরো সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু হেনা মোস্তফা জামানের সঞ্চালনায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরআরইউ সভাপতি এসএম আব্দুল মুগনী নীরো মহান ‘বিজয় দিবস’ মাসে উপস্থিত সকল সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ১৪ই ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী ‘গণহত্যা দিবস’ ও ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। উক্ত সভায় গত ৭ই ডিসেম্বর রাসিক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন কর্তৃক রাজশাহী রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সাংবাদিক বৃন্দকে দীর্ঘ চার ঘন্টা অপেক্ষার পরও সাক্ষাত না দিয়ে নগর ভবনে বসিয়ে রাখেন এবং এক পর্যায়ে নগর ভবনে (রাসিক) সাংবাদিকদের বসিয়ে রেখে দপ্তর থেকে বের হয়ে যান।
সাংবাদিকদের এই অবমাননাকর ঘটনায় সাংবাদিকগণ ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এই ধরনের অবমাননাকর ঘটনা খুবই বিরল। সোমবার রাতে জরুরী সভায় আরআরইউ-এর সাংবাদিকগণ সর্বসম্মতিক্রমে রাজশাহী সিটি করর্পোরেশনের উন্নয়নমূলক কাজের সংবাদ প্রচার বা প্রসারে বিরত থাকবার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এই সিদ্ধান্ত রাজশাহী রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (আরআরইউ) সকল সদস্যকে মেনে চলবার জন্য বিশেষ ভাবে নির্দেশ দেয়া হয়। উল্লেখ্য, গত ৭ই ডিসেম্বর রাজশাহী রিপোর্টার্স ইউনিটির (আরআরইউ) একটি প্রতিনিধি দল রাসিক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সংগে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়ে আরআরইউ-এর নব নির্বাচিত কমিটির পরিচিতি তালিকা ও রাসিক মেয়র লিটনের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ একটি ক্রেস্ট উপহার ও ফুলেল শুভেচছা প্রদান করতে রাসিক ভবনে যান। কিন্তু রাসিক মেয়র প্রায় চার ঘন্টা বসিয়ে রেখে স্বাক্ষাত না দিয়ে নগর ভবন ছেড়ে চলে যান। যা কোনভাবেই গ্রহণ যোগ্য হতে পারে না।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর খ্যাত জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহিদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানের সুযোগ্য পুত্র রাজশাহীর উন্নয়নের রূপকার সফল মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের কাছ থেকে এমন অশালীন আচরণ সাংবাদিক সমাজ মেনে নিতে পারে না। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সভার সিদ্ধান্ত সবাই মেনে চলতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সবাইকে বিজয় দিবসের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
মন্তব্য করুন