ডেস্ক রিপোর্ট। দি সিলেট পোস্ট।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ২৪ বিশিষ্ট নাগরিককে একুশে পদক প্রদান করা হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশিষ্টজনদের হাতে পদক তুলে দেওয়া হয়।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পদক হস্তান্তর করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
আরো পড়ুনঃ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা
এবারের একুশে পদকপ্রাপ্ত ২৪ বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে পাঁচজন মরণোত্তর এ সম্মাননা পেয়েছেন। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় গত ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালের পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেছিল।
এ বছর গবেষণায় একুশে পদক পেলেন চারজন। তারা হলেন— কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মো. আবদুস সাত্তার মণ্ডল এবং দলগতভাবে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের তিন গবেষক ড. মো. এনামুল হক (দলনেতা), ড. সাহানাজ সুলতানা ও ড. জান্নাতুল ফেরদৌস। উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান উদ্ভাবনের স্বীকৃতিতে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ওই তিনজন এ সম্মাননা পেলেন।
‘ভাষা আন্দোলনে ভূমিকার জন্য মোস্তফা এমএ মতিন ও মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুলকে মরণোত্তর একুশে পদক দিয়েছে সরকার। শিল্পকলায় অবদানের জন্য মরণোত্তর এ পদক পান নজরুল ইসলাম বাবু (সংগীত) ও খালেদ খান (অভিনয়)।
এ ছাড়া জিনাত বরকতউল্লাহ (নৃত্য), ইকবাল আহমেদ (সংগীত), মাহমুদুর রহমান বেণু (সংগীত), আফজাল হোসেন (অভিনয়) ও মাসুম আজিজ (অভিনয়) এবার শিল্পকলায় একুশে পদক পেয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য সাবেক কূটনীতিবিদ সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী মরণোত্তর একুশে পদক পান। এ ছাড়া অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান, কিউএবিএম রহমান ও আমজাদ আলী খন্দকার একুশে পদক পান এ শ্রেণিতে। সাংবাদিকতায় এবার এ পদক পেলেন চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এমএ মালেক।
এ ছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন এবং শিক্ষায় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর গৌতম বুদ্ধ দাশ একুশে পদক পান।
সমাজসেবায় আইনজীবী এসএম আব্রাহাম লিংকন ও বৌদ্ধ ধর্মগুরু সংঘরাজ জ্ঞানশ্রী মহাথের; ভাষা ও সাহিত্যে কবি কামাল চৌধুরী ও ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থ একুশে পদক পেলেন।
পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এককালীন চার লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধে অবদান, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রাখা ব্যক্তি, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন