মাহাদি হাসান চৌধুরী: বর্তমান প্রযুক্তির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও আধুনিক অনুষঙ্গ মোবাইল ফোন। স¤প্রতি প্রযুক্তির এই উন্নয়ন শিশুদের জন্য কল্যাণকর না হয়ে অনেক ক্ষেত্রে শিশুদের মারাত্মক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফ্রি-ফায়ার বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন গেইমগুলোর একটি।বর্তমানে কয়েকগুণ এই গেইমের জনপ্রিয়তা বেড়ে এখন আকাশচুম্বী। মোবাইল এবং কম্পিউটার দুটোতেই খেলা যায় এই গেইম। তবে ফ্রি-ফায়ার কম্পিউটার ভার্সনের থেকে মোবাইল ভার্সনটিই বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এটিতে বেশি আসক্তি হয়েছে শিশু-কিশোর ও তরুণরা। আর এ আসক্তির কারণে কিছু ক্ষতিকর দিকও ইদানীং উন্মোচিত হচ্ছে বড় আকারে। অনলাইনে মোবাইলের এই গেইমসের প্রতি প্রচন্ড আসক্তির কারণে কোমলমতি শিশুদের মানুসিক অবস্থা বা আচরণগত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
দেশে দিন দিন বাড়ছে স্মার্টফোনের সংখ্যা, তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের অনলাইন-অফলাইন গেইম। বাংলাদেশে শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষরাই এখন ঝুঁকছেন মোবাইল গেইমিংয়ে। সময় কাটানোর মাধ্যম হিসেবে এখন অনেকেরই পছন্দ মোবাইলের অনলাইন গেইমস। অনলাইনে একসাথে অনেকে খেলতে পারা গেইমগুলো কিশোর এবং তরুণদের কাছে হয়ে উঠেছে আকর্ষণীয়। গল্প-আড্ডা কিংবা ঘুমও কেড়ে নিচ্ছে এই মোবাইলের অনলাইন গেইমস। প্রতিদিনের নিত্যসঙ্গী আসক্তি আমাদের ঠিক কী কী এবং কতটুকু ক্ষতি করতে পারে। স্বাস্থ্যঝুঁকি,স্বপ্নধ্বস,সম্পর্কের অবনতি,একাকিত্ব নি®প্রয়োজনে নেট দুনিয়ায় ঢুকে পড়া। খিটখিটে মেজাজ তীব্র মাত্রায় ইন্টারনেট আসক্তির ফলে সহজ স্বাভাবিক কথাগুলোকেও বিষের মতো অগ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়। এমনকি, পরিবেশ-পরিস্থিতির তোয়াক্কা ভুলে হঠাৎ বিগড়ে যায় কারো কারো মেজাজ।
বর্তমান সময়ে দেশ জুড়েই চলছে মোবাইলে অনলাইন গেইমস। হাতে একটা স্মাটফোন, রাস্তার পাশে,গাছতলা, বাঁশ ঝোপ কিংবা বাগান। ভর দুপুর কিংবা গভীর রাত। যেনো আমলে আনছেনা যুবসমাজ। চায়ের দোকান, হাট বাজার,মাঠে ঘাটে দুপুরের প্রচন্ড গরমের তাপে লোকালয় জনশুন্য স্থানে। যেখানে-সেখানে বসে আড্ডা দিতে দেখা যায় হরহামেসে। খেয়াল নেই বৈশ্বিক মহামারি করোনার তান্ডবের কথা। কেবল স্মার্টফোনের সহায়তায় নতুন প্রজš§ আজ আসক্ত হয়ে পড়েছে অনলাইন গেইম নামক এক করুণ নেশায়। বাংলাদেশের অধিকাংশ অঞ্চলে দেখা গেছে যে,দিন দিন ইন্টারনেট ফাইটিং ফ্রি ফায়ার গেইমসে ঝুঁকছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিশু কিশোরা। করোনায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অলস সময়ে এ গেইমসে জড়িয়ে পড়ছে তারা। ঘরে বাইরে,রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও অনেককে দেখা যায় পড়াশোনায় ফাঁকি দিয়ে গেইম খেলছে। মাদকাসক্তির মতোই অনলাইন গেইম বর্তমান তরুণদেরকে গ্রাস করে ফেলছে। এক সময়ে তরুরা অবসর কাটাতো বই পড়ে,মাঠে খেলে, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে এবং বিভিন্ন সংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে কিন্তু বর্তমান সংস্কৃতি সভ্যতার চর্চাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এগুলোর জায়গা দখল করে আছে অনলাইনভিত্তিক গেমগুলো। আজকাল লক্ষ করা যায়, প্রাইমারি স্কুলের বাচ্চা থেকে শুরু করে মাধ্যমিক,উচ্চমাধ্যমিক এমনকি অনার্স পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের তরুণরাও অনলাইন গেইমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে, যা এখন শুধুমাত্র একটি নেশা নয়, মানসিক সমস্যাতেও পরিণত হয়েছে। এই নেশা বা আসক্তির পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। যে তরুণ-তরুণীরা স্বপ্ন দেখবে বিশ্ব জয়ের, যারা দেশকে একসময় নেতৃত্ব দেবে, তারাই আজ অনলাইন গেমে আসক্তির কারণে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ বয়সে অতিরিক্ত পরিমাণে গেইম খেলার বিষয়টি সর্বদা চিন্তা চেতনা ও আচরণের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, যা সামাজিক দক্ষতাকে কমিয়ে দেয়।এছাড়াও দৈনন্দিন জীবনযাপনের মান খারাপ রে দেয়। এক্ষেত্রে বাবা মায়ের ভূমিকাও প্রভাব ফেলে।
জানা গেছে, উড়তি বয়সের শিক্ষার্থীরা ও পুরো যুবসমাজ দিন দিন ফ্রি ফায়ার এবং পাবজি নামক গেইমের মরণ নেশায় জড়িয়ে পড়ছে।বর্তমান সময়ে ১০ বছর থেকে ১৫ বছরের উঠতি বয়সের শিশু ও যুবকরা খুব সহজেই হাতে স্মার্ট ফোন পেয়ে প্রতিনিয়ত এসব গেইমে আসক্ত হচ্ছে। দিন দিন এসব গেইমের আসক্তি বেরে চলেছে, এসব বিদেশী গেইম থেকে শিক্ষার্থী বা তরুণ প্রজন্মকে ফিরিয়ে আনতে না পারলে বড় ধরণের ক্ষতির আশঙ্কা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ফ্রি ফায়ার ও পাবজি নামক গেইমস মাদকদ্রব্যের নেশার চেয়েও বেশি ভয়ানক বলে উল্লেখ করেন স্থানীয় অনেকে” ইন্টারনেট গ্রæপ গেইম মহামারী আকার ধারণ করেছে।এই সমস্যা থেকে আমাদের সন্তান,ছোট ভাই-বোনদের বাঁচাতে হলে অভিভাবকদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকা, জনপ্রতিনিধিদের সচেতন হতে হবে এবং কঠোরভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।
ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে সকল গেইমসে শিশু-কিশোর ও যুবকরা জড়িয়ে পড়েছে মরণ নেশায়। তাদের মস্তিস্কে খুবই খারাপ প্রভাব ফেলছে। যার ফলে তাদের অপরাধমূলক কর্ম-কান্ডের প্রবণতা বাড়ছে। আবার অনেকে রাত ২-৩ টা পর্যন্ত এ গেইমসগুলো খেলে আবার অনেকে সারা রাত পার করে দেয় গেইমস খেলে। তাই সকল অভিভাবকের দায়িত্ব নিজ নিজ সন্তানদের সচেতন করা।গেমিং অ্যাডিকশন অনলাইন,মোবাইল বা ভিডিও গেইমে আসক্তিকে মনঃস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মাদকাসক্তির মতো ইন্টারনেটে মাত্রাতিরিক্ত থাকা বা গেইম খেলাও আসক্তি। অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই অনলাইন গেইম,মুঠোফোন,কম্পিউটার বা ভিডিও গেইমের ক্ষতিকর ব্যবহারকে রোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এর আগে ২০১৩ সালে আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন প্রকাশিত মানসিক রোগ নির্ণয়বিষয়ক গাইডলাইনে (ডিএসএম-৫-) বিষয়টিকে ‘ইন্টারনেট গেমিং ডিজঅর্ডার’ হিসেবে উল্লেখ করে গবেষণার ভিত্তিতে রোগ হিসেবে চিহ্নিত করার সুপারিশ করেছিলো। এটা আচরণগত আসক্তি। কেবল সচেতনতাই পারে এই আসক্তি থেকে মুক্ত করতে।
সারা দিন গেইম নিয়ে ব্যস্ত। মানছে না মা-বাবার হুকুম। মা-বাবার সঙ্গে কোনো জায়গায় বেড়াতে যেতে চায় না,বন্ধুদের সঙ্গে মেশে না,গল্পের বই পড়ে না। ক্রিকেট বা অন্য কোনো খেলাও খেলে না। ডিজিটাল পর্দার গেইম ছাড়া তার আর কোনো কিছুতে আগ্রহ নেই। বাসায় কয়েক মুহুর্তের জন্য ওয়াই–ফাই বন্ধ থাকলে তার উৎকণ্ঠা বেড়ে যায়। অস্থিরতা শুরু করে। মা–-বাবা রাগ করে তার মুঠোফোনটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেই শান্তসুবোধ ছেলেরা অগ্নিমূর্তি হয়ে ধুমধাম করে। এমন বৈশিষ্ট্যের কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে মা-বাবারা সংকটে পড়েছেন। বাংলাদেশেই শুধু নয়, সারা পৃথিবীতেই এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ মনোস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।এ কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দীর্ঘদিন জরিপ আর গবেষণার পর ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন অব ডিজিজ ১১তম সংশোধিত সংস্করণে (আইসিডি-১১), ‘গেমিং অ্যাডিকশন’ হিসেবে একে মনোস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে গ্রহণ করেছে ২০১৮ সালের জুন মাসে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে প্রকাশিতব্য আইসিডি-১১ শীর্ষক রোগ নির্ণয়ে গাইডবুকে এটি সংযুক্ত করা হযেছে।
পাবজি,ফ্রি ফায়ার গেইমসের নেশায় আসক্ত যুবক তরুনেরা,বিকেল হলেই এরা রাস্তার পাশে আসক্ত হয়ে পড়ে এ নেশায়। এদের কাছে শুধু বিকেল আর রাত নয় যখন সময় পায় তখন শুরু করে এ খেলা। বিকেল থেকে শুরু করে অনেক রাত পর্যন্ত রাস্তার পাশে বসে একাধারে খেলতে থাকে এ গেইমস। দেখার কেউ নেই,এতে ধ্বংস হচ্ছে হাজার হাজার যুবক ছেলে।শুধু রাস্তায় নয় পথে ঘাটে,আনাচে কানাচে এ খেলায় আসক্ত হচ্ছে যুবসমাজ।মানিকগঞ্জের সিংগাইরে যেনো এ খেলার ঢল নেমেছে। শুধু সিংগাইর-ই নয় বিভিন্ন স্থানসহ সারা বাংলাদেশে এ গেইমসের কারণে ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ। এ খেলায় অপকার ছাড়া কোনো উপকার নেই। এ গেইমসে আসক্ত হয়ে পড়ছে তরুনেরা যার কারণে এদের মধ্যে থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশপ্রেম। এদের দেশের প্রতি কোনো ভালোবাসা নেই,দেশকে এরা ভাবে না,পরিবারের দিকেও নেই কোনো টান। দেশকে নিয়ে ভাবছে না এরা,যার কারণে দেশে অন্যায় অত্যাচার বেড়ে গেছে।এ নেশায় আসক্ত হয়ে ব্রেনের সমস্যা হচ্ছে, অনেকক্ষণ ফোনের দিকে চেয়ে থাকার কারণে চোখে সমস্যা হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে সময়। এ গেমস খেলতে গেলে প্রয়োজন এমবি,আর এমবি কেনার জন্য প্রয়োজন টাকা। যার কারণে ব্যয় হচ্ছে অর্থের। এভাবেই এ গেইমসের কারণে ধ্বংস হচ্ছে এদেশের তরুণ প্রজন্ম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিসা হাসান। চলতে-ফিরতে তাঁর সঙ্গে স্মার্টফোন থাকবেই। মাথা নিচু করে স্মার্টফোনে মুখ গুঁজে রাখা কিংবা কানে ইয়ারফোন দিয়ে কোনো গান শোনাই যেন নাফিসার নিত্যদিনের অভ্যাস। এর সঙ্গে একটু পরপর ফেসবুকের ‘টিং’ নোটিফিকেশনের শব্দ তো আছে, বন্ধুরা কে কোন ছবিতে লাইক দিয়েছেন তা জানার জন্যই স্মার্টফোন থেকে এক মিটার দূরে যেতেও চান না নাফিসা।
তরুণ ব্যাংকার আজহারুল ইসলামের। সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আজহার কাজ সামলাবেন না মুঠোফোন সামলাবেন তা নিয়ে মাঝেমধ্যেই বিব্রত হন। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটার, ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানসহ হাজারও নেশায় আসক্ত আজহার আর নাফিসা। এই তরুণদের মতো আমরা অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়, কর্মক্ষেত্রে আমাদের মুঠোফোনে আসক্তির কারণে হাজারো বিপত্তিতে পড়ি।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস রিভিউ সাময়িকী বলছে, ২০১০ সালের কর্মক্ষেত্রে ৩৯ শতাংশ তরুণ ম্যানেজারের মুঠোফোনে আসক্তি ২০১৪ সালে এসে ৬০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। সপ্তাহে স্মার্টফোনে তরুণ পেশাজীবীরা এখন ৩৫ ঘণ্টার বেশি সময় ব্যয় করেন, যা কি না তাঁদের কাজের গুণগত মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৪৫ ঘণ্টার ওপরে মুঠোফোনে ডুবে থাকেন।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক জরিপে জানা যায়, ৪৬ শতাংশ মুঠোফোন ব্যবহারকারী ‘ফোন ছাড়া বাঁচবই না’ বলে মনে করেন। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, তরুণেরা এখন মুঠোফোনকে তাঁদের শরীরের অঙ্গই মনে করেন। ফ্লোরিডা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা দেখেছেন, মুঠোফোনে আসক্ত ব্যক্তিদের উচ্চরক্তচাপ, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। শতকরা ৬৩ শতাংশ মানুষ ঘুম থেকে উঠেই স্মার্টফোনে আগে চোখ রাখেন। মুঠোফোনে আসক্তিকে তো পিসিম্যাগ প্লেগ রোগের সঙ্গে তুলনা করে। টাইম ম্যাগাজিন, ফেমিনা, দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা মুঠোফোনে আসক্তি কমাতে অনেক বুদ্ধি বের করেছে।
স্মার্টফোনে আসক্তি কমাতে যা করবেন
* ঘুমানোর সময় বালিশের পাশে মুঠোফোন নিয়ে ঘুমাবেন না। এতে ফোনের তেজস্ক্রিয়াজনিত ঝুঁকি থেকে মুক্ত হওয়া যায়, তেমনি ঘুম থেকে উঠেই স্মার্টফোনে চোখ রাখার অভ্যাস কমানো যায়।
* কোনো মিটিং কিংবা ক্লাসে মুঠোফোন বন্ধ করে ব্যাগে কিংবা টেবিলের ড্রয়ারে রেখে আসুন। মিসড কল অ্যালার্ট সার্ভিসের মাধ্যমে ফোন বন্ধ রাখার সময় কে কে ফোন করেছিলেন তা জানতে পারেন।
* খাওয়ার সময় কখনোই ফোনের পর্দায় চোখ রাখবেন না। খাওয়া উপভোগ করার জন্য ফোন থেকে দূরে থাকুন।
* মুঠোফোনে ই-মেইলের উত্তর দেওয়ার বদলে ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটারে অভ্যাস করুন।
* ফ্রিডম, অ্যাপডেটক্স, স্টে অন টাস্ক, ব্রেকফিসহ বিভিন্ন অ্যাপ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্তি কমাতে পারেন। এই অ্যাপগুলো আপনার মুঠোফোনে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন অ্যাপ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ রেখে আপনার আসক্তি কমাতে পারে।
* প্রতিদিন সকালে পত্রিকা পড়ার অভ্যাস ও রাতে বই পড়ার অভ্যাস স্মার্টফোনে আসক্তি অনেকটা কমিয়ে আনে।
* ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে সেটিংস অপশন থেকে নোটিফিকেশন বার্তা কমিয়ে নিতে পারেন।
* স্মার্টফোনে আসক্তি কমাতে সাধারণ মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু করতে পারেন, যা শুধু কাজের জন্য কল দেওয়া আর খুদেবার্তা পাঠানোর জন্য ব্যবহার করবেন।
* বিভিন্ন আড্ডা কিংবা খেলার মাঠে নিজের অংশগ্রহণ বাড়ানোর চেষ্টা করুন। বন্ধুদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার, বন্ধুদের চোখে চোখ রেখে গল্প-আড্ডায় মেতে উঠুন, এতেও মুঠোফোন আসক্তি অনেক কমে আসে।
মন্তব্য করুন