সিলেট প্রতিনিধিঃ
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসকন সিলেটে পালিত হয়েছে দিনব্যাপী গীতা জয়ন্তী উৎসব।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় ইসকন সিলেট মন্দিরের উদ্যোগে এই উৎসব অনুষ্টিত হয়। শ্রীল প্রভুপাদ গ্রন্থ ম্যারাথন ও গীতা জয়ন্তী উৎসবে আশির্বাদক থেকে দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন ইসকন বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ও ইসকন সিলেটের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ভক্তি অদ্বৈত নবদ্বীপ স্বামী মহারাজ।
ব্যতিক্রমধর্মী এ গীতা জয়ন্তী উৎসবে যোগ দিতে সিলেটের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় দুই সহস্রাধীক ভক্ত ছুটে এসেছেন।
জগৎবাসীর প্রকৃত কল্যাণে অর্থাৎ জড়জগতের মায়ার বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়ার এই শ্লোগানে ইসকন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ভাগবত করুনা দাসের সভাপতিত্বে হরিনাম সংকীর্তন পরিবেশন ও অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইসকন সিলেট ইয়ুথ ফোরামের কো-অর্ডিনেটর দেবর্ষি শ্রীবাস দাস, ইসকন সংকীর্তন প্রচার বিভাগের পরিচালক শালগ্রাম গোবিন্দ দাস ব্রহ্মচারী, সংকীর্তন নিতাই দাস, পদ্মলোচন দাস, নবীন নীল মাধব দাস প্রমুখ।
দিনব্যাপী এই গীতা জয়ন্তী উৎসবকে ঘিরে যেন ভক্তদের মিলনমেলায় পরিণত হয় ইসকন সিলেট মন্দিরে। সকাল হতে না হতেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা এসে ভিড় করেন মন্দিরে। সকাল ৯ টায় অনুষ্ঠান শুরু হলে ভক্তদের মিলনমেলায় পরিণত হয় মন্দির। অন্যদিকে অগ্নিহোত্র যজ্ঞের সাথে চলতে থাকে ভক্তদের স্বরচিত গীতা পাঠের আসর।
আয়োজকরা জানান, মানুষ প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠলে সব মানুষের জীবন সার্থক হবে। এজন্যই পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে পাঁচ হাজার বছর আগে অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লা একাদশী (মোক্ষদা একাদশী) তিথিতে কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গনে ভগবদ্গীতার জ্ঞান দান করেছিলেন তাই এই মহিমামণ্ডিত তিথিকে গীতা জয়ন্তী তিথি বলা হয়।
মন্তব্য করুন