মাহাদি হাসান, স্টাফ রিপোর্টারঃ
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পাওয়া গেছে। ঘটনার পর প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত এখনও অধরা। তবে পুলিশ বলছে- তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফতেপুর গ্রামের মাদ্রাসার ১ম শ্রেণির এক ছাত্রী গত বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার জামেয়া ইসলামীয়া দারুল হাদিছ ক্বামরুল ইসলাম মুহিউসসুন্নাহ বাগেরখাল মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে যায়। মাহফিলের বাজার হতে উত্তর বাগেরখাল গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে পাবেল মিয়া (২০) ও একই গ্রামের মইন উদ্দিন উরফে কুটিনা মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন (২১) ছাত্রীকে অনেক কিছু কিনে দিবে- এমন প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে নির্জন একটি স্থানে নিয়ে গিয়ে মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই শিশু কান্না করতে করতে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানায়।
এ ঘটনায় ভিটটিমের মা বাদি হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ রক্তমাখা জামাকাপড় জব্দ করে এবং ভিকটিম শিশুটিকে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩-৯ (৩) ধারায় মামলা রেকর্ড (নং-৫/১৯৬) করেছে পুলিশ।
এদিকে, অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেনের পিতা মইন উদ্দিন কুটিনা মিয়া ও পাবেল মিয়া বড় ভাই রাশেল মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ ও মন্তাজ মেম্বারের সুপারিশে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এ বিষয়ে ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বলেন, একটি ঘটনা ঘটেছে, তবে ধর্ষণ হয়েছে কি না জানি না। সেটি তদন্তসাপেক্ষে পুলিশ বলবে।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমদ বলেন, শিশুটির পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের নিকট আহবান জানাচ্ছি।
জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, এ মামলার আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন