পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:
পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকেও আসামি করা হয়েছে।
গত রবিবার ১০নভেম্বর পঞ্চগড় সদর থানায় এই মামলা করেন পঞ্চগড় সদর উপজেলা দর্জিপাড়া এলাকায় বাসিন্দা মনু মিয়া। মামলার অপর আসামিরা হলেন: পঞ্চগড়-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া, একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নোমান হাসান, সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাদিক প্লাবন পাটোয়ারী, পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম, হাসনাত মো. হামিদুর রহমান, পঞ্চগড় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আল তারিক, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির উজ্জলসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পরিবারের ধারণা, তাকে হত্যার পর গুম করে রাখা হয়েছে। এ দিকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের তিন মাস অতিবাহিত হলেও ছেলেকে না পাওয়ায় মামলা দায়ের করে ছেলেকে ফেরত পেতে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছে পরিবারটি।
মামলার এজাহারে জানা যায়, পঞ্চগড় সদর উপজেলা দর্জিপাড়া এলাকার বাসিন্দা আল আমিন (২১)। তিনি পেশায় রিকশাচালক। গত ৫ আগস্ট সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে পঞ্চগড় চৌরঙ্গী মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেন তিনি। দুপুরে দুজনের সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাদিক পাটোয়ারী প্লাবনের বাড়ি সামনে তাকে আটক করা হয়।
পরে আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্দেশে তার ওপর হামলা করা হয়। তারপর তাকে টেনে হিঁচড়ে ছাত্রলীগ নেতা প্লাবনের বাড়ির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। আল আমিনের সঙ্গে থাকা রায়হানুল ইসলাম রিফাত ও সুজন ইসলামকে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ দিকে রাতে বাড়ি না ফিরলে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। এরপর ১৪ আগস্ট থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেন তারা। এ দিকে রিফাত ও সুজনের মাধ্যমে এ ঘটনা জানতে পেরে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা করেন আল আমিনের বাবা।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন