কক্সবাজার প্রতিনিধি ;
২০১৭ সালে মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদান করে বাংলাদেশ সরকার। আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সেবা প্রদান করার জন্য বিভিন্ন দাতা সংস্থা কাজ করতে শুরু করে তার মধ্য ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বির্তকিত একটা এনজিও বলে মন্তব্য করেছেন অভিযোগকারী। তিনি আরও জানান, স্থানীয়দের বিনা কারণে চাকরিচ্যুত করা, বহিরাগত নিয়োগ দেওয়া,কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দুর্নীতিতে এই এনজিও রয়েছে সবার শীর্ষে।
আরও বলেন, আগে এরকম অনেক বির্তকিত ঘটনার জন্মদিয়ে পার পেয়ে যায় এই সংস্থা, এসব অনিয়মের কথা তুলে ধরলে এই সদানন্দ কুমার পাল বনজ কুমারের নিকটতম আত্নীয় বলে সাংবাদিকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করত। সদানন্দ কুমার পালের সহযোগী হয়ে কাজ করতো তার লাইন ম্যানেজার মশিউর রহমান এবং এলভিস নামের একজন তাদের এসব অপকর্মের হাত এতো লম্বা ছিলে সদানন্দ বিগত এক বছর এফডি-০৭ ছাড়া RRRC থেকে একটি প্রজেক্ট অনুমতি নিয়ে প্রজেক্ট কার্যক্রম চালিয়ে আসতেছে।
বিভিন্ন তথ্য সূত্র মতে, উক্ত প্রকল্পের অবৈধ নথি পত্র আমাদের হাতে আসলে আমরা সদানন্দের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এটি একটি ছোট্ট ভুল বলে চালিয়ে দেয়। বাস্তবিক অর্থে এটি কোন প্রকার ছোট ভুল নয় তারা এটি বুঝতে পেরে বিভিন্ন ভাবে তদবির করার চেষ্টা করে যাতে এটি সংবাদ মাধ্যমে না আসে কিন্তু সদানন্দ ছিল প্রতিবারের ন্যায় পর্দার আড়ালে,তিনি সব সময় ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থাকে।
তিনি আরও জানান, ওয়ার্ল্ড ভিশন কতৃপক্ষ তার এসব অপকর্মের কথা জানার পরেও চুপ থাকে কারণ তিনি এক সময় বনজ কুমারের ভূয়া আত্নীয় পরিচয় দিয়ে ওয়ার্ল্ড ভিশনের সমস্ত অবৈধ কার্যক্রম চালাতো। বর্তমানে যেই অবৈধ প্রকল্পের কথা আমরা জানতে পারি তা হচ্ছে সি,সিএলসি, হংকং ফান্ডে একটি প্রকল্প উক্ত প্রকল্প ক্যাম্প ১৯ য়ে ০৯ এবং ক্যাম্প ৮ই তে ০১ সেন্টার রয়েছে যার কোন প্রকার এফডি-০৭ নেই।
অতচ সদানন্দ এই প্রকল্পের অনুমতি নিয়েছে জাল জালিয়াতি করে, সদানন্দ সুন্দর বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এই প্রকল্পের অনুমতি নেওয়ার কাজ সহজ হয় সদানন্দের অধীনে চলা আরেকটি প্রকল্প সি,এল,সির কারণে উক্ত প্রকল্পটিতে এফ,ডি-০৭ অনুযায়ী ২০ টি সেন্টারের কার্যক্রম চলার কথা ক্যাম্প-২০ তে ০৮ টি,
ক্যাম্প-৮ই তে ০২ টি, ক্যাম্প ১৫ তে ৪ টি, ক্যাম্প-২৪ ০৬ মোট-২০ টি সেন্টারের কথা এফডি-০৭ এ উল্লেখ থাকলেও সদানন্দ অনুমতি নিয়েছে ৩০ টি সেন্টার।
এই কাজটি করা সদানন্দের জন্য একদম সহজ ছিল কারণ দুইটা প্রকল্পের ম্যানেজার ছিল সদানন্দ কুমার পাল আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে দুটি প্রকল্পের নাম এবং কার্যক্রম সব গুলো একই কিন্তু সি,এল,সি প্রকল্পের ডোনার নিউজিল্যান্ডে এবং সি,সি,এল,সির ডোনার হংকং।
সদানন্দ সি,আই,সি RRRC চোখে ধোলা দিয়ে সি,এল,সির এফডি-০৭ দিয়ে সি,সি,এল,সিও ১০ টি সেন্টার অনুমতি নিয়ে নেয়। মূলত সি,এল,সির ২০ সেন্টারের কথা এফডি-০৭ এ উল্লেখ থাকলেও সি,সি,এলসি সহ ৩০ টি সেন্টারের অনুমতি নিয়ে আসে সদানন্দ কুমার পাল।
উক্ত প্রকল্পের বিষয়ে ক্যাম্প ৮ই সি,আই,সি নজরুল ইসলাম এবং ক্যাম্প ১৯ এর সি,আই,সি, মোঃ আল-ইমরানের সাথে কথা হলে উনারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশ্বস্ত করেন।
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন সদানন্দের এরকম জাল জালিয়াতি এবং বেআইনি কাজের জন্য RRRC ওয়ার্ল্ড ভিশন কতৃপক্ষ খুব শিঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এ ব্যপারে সদানন্দের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং তার উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলতে বলে প্রতিবেদকের ফোনটি কেটে দেন।
মন্তব্য করুন