কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
সেনা বাহিনীর সরব উপস্থিতিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার উত্তপ্ত পরিবেশ ক্রমশ শান্ত হয়ে আসছে। থানায় পুলিশ না থাকায় এবং ৫ আগস্ট বিকেলে সহিংসতায় আতংকে ছিলেন এ উপজেলার মানুষ। এ অবস্থায় স্থানীয় উপজেলা বিএনপি, জামায়াত ইসলামী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা শহরের বিভিন্ন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। তারা পরিচ্ছন্নতা, ট্রাফিকিং ও সনাতন ধর্মালম্বীর মন্দির পাহারাার দায়িত্ব নেন।
একই সাথে সেনাবাহিনীর জোয়ানদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। মেজর মো: মেজবাউর রহমান এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের দায়িত্বরত কর্মকতাগণ উপজেলার বিভিন্ন মন্দির ও ক্ষতিগস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন কালে আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মো: মেজবাউর রহমান বলেন, আইন শৃঙ্খলার অবনতি যারাই ঘটাবে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। এর মাঝেও শনিবার ভোররাতে কমলগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের গোপালনগর এলাকায় ২০/২৫ জনের দুটি সংঘবদ্ধ সশস্ত্র ডাকাতদল প্রবেশ করে ডাকাতির চেষ্টা করলে এলাকাবাসী জেগে উঠে লাঠিসোঠা নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুললে ডাকাতদল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গোপালনগর এলাকার সঞ্জয় কান্তি দেব নামে একব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডাকাতি প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের ডাক দেন। কমলগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে চুরি ডাকাতি প্রতিরোধে অনেকেই রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকেও অবগত করা হয়।
কমলগঞ্জ কেন্দ্রীয় দুর্গাবাড়ি পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রদীপ দত্ত রেন্টু জানান, সেনাবাহিনীর একটি টিম ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ তাদের মন্দির পরিদর্শন করেছেন এবং নিয়মিত টহলসহ যে কোন সমস্যায় তাদের পাশে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল চন্দ্র দাশ ও সাধারণ সম্পাদক প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ জানান, গত ৫ আগস্টের পর থেকে কমলগঞ্জ উপজেলায় কোন পুলিশ সদস্য থানায় ছিলনা। শুক্রবার বেশকিছু পুলিশ সদস্য থানায় ফিরে আসলেও তাদের কার্যক্রম চোখে পড়েনি। নানা ঘটনা নিয়ে অনেকে আতংক ছিলেন। এই অবস্থায় সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নিয়মিত টহল ও মন্দির পরিদর্শনে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।
মন্তব্য করুন