হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে জনসংযোগে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকরা। পোস্টার লিফলেট হাতে গ্রামে ভোটারের দ্বারে ছুটছেন প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা। ৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা পাড়ায় মহল্লায় চলছে উঠান বৈঠক। সুযোগ করে প্রত্যেকটি ঘরের কড়া নেড়ে ভোট প্রার্থনার প্রতিযোগিতা চলছে। এ উপজেলায় প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মোট ১৬ জন প্রার্থী ভোটারদের মনযোগ আকর্ষণ করতে দিন রাত পাড়া মহল্লায় বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভোট চেয়ে ভোটারের মন জয় করার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি চলছে বিরামহীনভাবে মাইকিং। মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত হচ্ছে গ্রামের রাস্তাঘাট। সরেজমিন অনুসন্ধানে প্রার্থীদের সমর্থক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ জন তারা হলেন- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আলাউদ্দিন মিয়া (কাপ পিরিচ), শিবপাশা ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আলী আমজাদ তালুকদার (কৈ মাছ), ডাঃ লোকমান মিয়া (দোয়াত কলম), আকবর হোসেন (ঘোড়া), বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মর্ত্তুজা হাসান (আনারস), ডাঃ রেজাউল করিম (মটর সাইকেল) প্রতীক নিয়ে। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৯৪ হাজার ৪৮২ জন, তার মধ্যে পুরুষ-৪৭ হাজার ৮৩৫, মহিলা ৪৬ হাজার ৬৪৭। ভোট কেন্দ্র ৪৪টি। সূত্র জানায়, বসে নেই তাদের কর্মী সমর্থকরা। ভোট প্রার্থনায় দৌড়াচ্ছেন প্রার্থীদের মা-স্ত্রী ও সন্তানেরা। একেক গ্রুপের সমর্থক নির্ধারণ করে প্রত্যেক ইউনিয়নে দিনেরাতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন তারা। কারও হাতে পোস্টার। কারও হাতে লিফলেট। ভোটার দেখা মাত্র ছালাম দিয়ে কাছে যাচ্ছেন। মাথায় হাত দিয়ে ভালোবাসার বাণী বিনিময় করছেন। অনেককে আবার বুকে জড়িয়ে ধরে দোয়া ও ভোট চাইছেন। শেষে আবেগ আপ্লুত হয়ে নিজের প্রার্থীর প্রতীকটা দেখিয়ে বলছেন উপজেলার সকল মানুষের সুখ শান্তি ও ন্যায় বিচার, উন্নয়নের জন্য দয়া করে এই প্রতীকে ভোট দেবেন।’ ভোটের জন্য সকলেই পছন্দের প্রার্থীর ভালো দিকগুলো তুলে ধরছেন মানুষের কাছে। নিজ প্রার্থীকে উর্ধ্বে তুলতে একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে বাকযুদ্ধে। প্রত্যেক প্রার্থী ও সমর্থকরা ভবিষ্যৎ উন্নয়নের স্বপ্ন দেখিয়ে মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ অতীত কৃতকর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি ক্ষমাও প্রার্থনা করছেন।
উপজেলার প্রত্যেকটি গ্রামে প্রতি মুহূর্তেই দেখা মিলছে একাধিক প্রার্থীর কর্মী বাহিনীর। মটর সাইকেল শো-ডাউন, শোভাযাত্রা, রঙ্গিন ব্যানার আর সমাবেশকে কেন্দ্র করে মাঝে মধ্যে আচরণ বিধিভঙ্গের অভিযোগও উঠছে। নাম প্রকাশ করার শর্তে একধিক ব্যক্তি বলেন, দলীয় প্রতীক না থাকায় বিএনপি বিহীন নির্বাচনী মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারাই প্রার্থী। তাই তৃণমূলের নেতারা এই নির্বাচনে চরম বেকায়দায় পড়েছেন। অনেক আওয়ামী সমর্থক ও নেতৃবৃন্দ সকল প্রার্থীর মন জয় করে চলেছেন। কিন্তু তারা কোথায় ভোট দিবেন তা এখনো নিশ্চিত নন। একই কারণে প্রার্থীরাও স্বস্তিতে নেই। তারপরও জয়লাভের বিষয়ে সকল প্রার্থীই দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করছেন।
মন্তব্য করুন