নূরুজ্জামান ফারুকী হবিগঞ্জ থেকে।
নবীগঞ্জে মারামারি মামলার পরোয়ানাভূক্ত আসামীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। মামলা দায়েরের দীর্ঘদিন পরও গ্রেফতার হচ্ছে না তারা। এ নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বাদি ও তার পরিবার। মামলা সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার বানিউন গ্রামের মৃত আমীর উদ্দিনের পুত্র জুয়েল আহমেদ রুহেল ও জুবায়েল আহমেদের সাথে জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল লতিবপুর গ্রামের মৃত সামছুদ্দিনের পুত্র ফরিদ আহমেদ, বানিউন গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র হাবিবুর রহমান, লতিবপুর গ্রামের মৃত তাজ উদ্দিনের পুত্র সইবুর রহমান ও হুসাইন আহমদের।
এ নিয়ে গত ১৮ আগস্ট বিকালে ইনাতগঞ্জ বাজারে ইংল্যাণ্ড প্রবাসী মুক্তার উদ্দিনের বাসায় সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশে আসামি ফরিদ আহমদের সাথে জুবায়েল আহমদের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় জুবায়েলকে প্রাণে হত্যার হুমকি প্রদর্শন করা হয়। ওই দিন রাত ৮টার দিকে জুবায়েল আহমেদ ইনাতগঞ্জ পূর্ব বাজারস্থ রানীগঞ্জ রোডে একটি দোকানে বাজার করতে গেলে উল্লেখিত আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে রক্ষা করতে জুয়েল এগিয়ে গেলে তার ওপর হামলা চালানো হয়।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর থানায় উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে ইনাতগঞ্জ বাজার ছড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আরিফ উল্লার পুত্র রিপন আহমেদ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি রুজুর পর আদালত থেকে তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়। এই ওয়ারেন্ট নবীগঞ্জ থানায় প্রেরণ করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে মামলার বাদি রিপন আহমেদ জানান, গ্রেফতারী পরোয়ানার পরও তাদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং মামলার ভবিষ্যত নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন।
মন্তব্য করুন