মাহবুবুল আলম
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মৌলভীবাজার জেলা শাখার সংগ্রামী সভাপতি এবং রাজনগর উপজেলা ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন মৌলভীবাজার-৩ এর মাননীয় সংসদ সদস্য জননেতা জনাব নেছার আহমেদ এম’পিকে নিয়ে দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় সম্পুর্ণ ভূয়া, মিথ্যা, বানোয়াট উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রচার করায় সর্বস্তরে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড়।
জেলার একজন জনপ্রিয় ও সফল রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগের ‘সাধারণ সম্পাদক থেকে তিনি বর্তমানে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৩
সংসদীয় আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন।
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তিনি দলমত নির্বিশেষে মানুষের আস্থা ও ভরসারস্থল হয়ে উঠেন। একজন সংসদ সদস্য হয়েও সবসময় সাদামাটা জীবনযাপন করেছেন তিনি। তাকে কখনও দেখিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করতে।সম্প্রতি মৌলভীবাজার-৩ সংসদীয় আসনের এমপি জনাব নেছার আহমদকে নিয়ে কালবেলা নামের একটি ভূঁইফোড় জাতীয় দৈনিক একটা মনগড়া গাঁজাখোররি রিপোর্ট করেছে। মৌলভীবাজারে এ নিয়ে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে, এবং
মৌলভীবাজারে সাধারণ মানুষ ও সুশীল সমাজ প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেছে। পত্রিকাটি ও এর স্থানীয় প্রতিনিধি নিন্দার ঝড় বইছে।মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সবারই আছে, কিন্তু সেই মত প্রকাশ যদি ব্যক্তিগত আক্রমণের পর্যায়ে চলে যায়, তখন তা আর মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পর্যায়ে থাকে না। এভাবেই একটি সংবাদপত্র বস্তুনিষ্টতা ও বিশ্বাসযোগ্য হারায়।
এটি তখন হলুদ সাংবাদিকতার পর্যায়ে চলে যায়। জনাব নেছার আহমদ এমপির বিরুদ্ধে এমন একটি মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করে পত্রিকাটি কেবল তার বিশ্বাসযোগ্যতাই হারায়নি সাথে সাথে নিন্দার পাত্রে পরিনত হয়েছে।
এই বছর ডিসেম্বরের শেষ দিকে অথবা আগামী জানুয়ারির প্রথম দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে তাই যারা তার দলীয় বা বিরোধীদলীয় রাজনীতিক প্রতিপক্ষ নেছার আহমদ এমপির বিরুদ্ধে দুর্নাম এবং কুৎসা রটিয়ে নির্বাচনের আগে ফায়দা লুটতে ওঠে পড়ে লেগেছে। কোন মহলই রাজনীতির নোংরা এই খেলায় নেছার আহমদের ক্ষতি করতে পারবে না। কারণ নেছার আহমদ সৎ মানুষ নন এসব কথা বলে নির্বাচকদের বিভ্রান্ত করতে পাবেন বলে মনে হয় না। কেননানির্বাচকরা জনাব নেছার আহমদ এমপিকে মাটি মানুষের একজন নেতা হিসেবে খুব ভাল করেই জানেন।
তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ যদি চায় তার কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন করতে পারে। গত সাড়ে চার বছর তিনি মৌলভী বাজারের জনগণকে কী কী দিতে পেরেছেন জনগণের কাছে যে ওয়াদাগুলো কতটুকু ওয়াদা পালন করতে পেরেছেন তা মৌলভীবাজারের মানুষ অবগত। কাজেই জনাব নেছার আহমেদের বিরুদ্ধে যতই অপপ্রচার করা হোক না কেন এতে প্রতিপক্ষের কোন লাভ হবে না।
কেউ কেউ হয়তো বলতে পারেন, মৌলভীবাজারে একটি মেডিকেল কলেজ বা একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন বা সমশেরনগর পরিত্যাক্ত বিমান বন্দর চালু করার বিষয়ে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারেননি, তা হলে বলবো এতে নেছার আহমদ এর একা কোনো ব্যর্থতা নেই; কেননা, মৌলভীবাজারের জনগণ ও নির্বাচকমন্ডলী দেখেছে সংসদের কার্যক্রমে অংশ নিয়ে নেছার আহমদ এমপি মৌলভীবাজারের জনগণের উপরোক্ত প্রাণের দাবিগুলো উত্থাপন করে কীভাবে জোরালো বক্তব্য রেখেছেন। কিন্তু ওইসব দাবি বাস্তবায়ন সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এর দায় চাপাতে হলে মৌলভীবাজারের সকল নির্বাচিত এমপিদের ওপরই এ দায় চাপানো যেতে পারে।
তাই এ কথাই জোর দিয়ে বলা যায় দৈনিক কালবেলায় নেছার আহমদ এমপির বিরুদ্ধে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে এই সংবাদটি ফরমায়েসী এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একজন জনপ্রিয় নেতাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যেই অসত্য প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনটিতে তথ্যগত অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতিও রয়েছে।
আমরা যারা তাঁকে জানি বা চিনি তাঁর সম্পর্কিত এ অবাস্তব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রচার করে সাধারণ মানুষকে বিশ্বাস করানো যাবে না। উদ্দেশ্য প্রনোদিত অসত্য এ প্রতিবেদন ছাপিয়ে জনাব নেছার আহমদ এমপির জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে পারবে না। অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থের জন্য নেছার আহমদের চরিত্র হননের এটি একটি ব্যর্থ চেষ্টামাত্র। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
একজন নিরহংকারী সৎ নেতা হিসেবে মৌলভীবাজারে জনাব নেছার আহমদের বিপুল গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তিন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের একেবারেই তৃণমূল থেকে ওঠে আসা একজন ত্যাগী নেতা। তিনি তার যোগ্যতা প্রমাণের মাধ্যমে বর্তমানের অবস্থানে পৌঁছেন।
মৌলভীবাজারের মানুষ মনে করে নেছার আহমদ সৎ ও সুস্থধারার একজন রাজনীতিবিদ। মৌলভীবাজারের মানুষ তাকে একজন ত্যাগী রাজনীতিবিদ হিসেবেই জানে ও চিনে। যে বা যারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নেছারআহমদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা চরিতার্থের নোংরা ও জঘন্য খেলায় মেতে ওঠেছে তারা সহসাই আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
জনার নেছার আহমদ এমপির ফেসবুকের এই স্ট্যাটাসটি দিয়েই লেখাটি শেষ করছি। তিনি তার এই স্ট্যাটাসে বলেছেন “তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার দিন শেষ।রাজনীতিতে সততা এবং সাদামাটা জীবনযাপনই আমার মূল সম্পদ। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ, লোভ লালসা কখনোই আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি, যা আমার প্রাণের মৌলভীবাজারবাসী অবগত। আমি কৃতজ্ঞ আমার প্রিয় মৌলভীবাজারবাসীর প্রতি।”
লেখক: কবি-কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট ও গবেষক।
মন্তব্য করুন