মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী
বিভাজন, হিংসা-বিদ্বেষ, নিন্দাবাদ না ছড়িয়ে দেশকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে ক্ষমাশীলতা, সহনশীলতা, ঐক্য, সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও শান্তির পয়গাম নিয়ে সৎ রাজনীতিবিদরা একটি প্ল্যাটফর্মে সংগঠিত হলেই কেবল সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫২ বছরেও আওয়ামীলীগ-বিএনপির মধ্যে অনৈক্য তথা বিভাজনের ব্যাপক চাষবাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্বাধীনতা বিরোধী নামক শব্দটা যারা ব্যবহার করছেন-আসলে তারাই বিভাজন সৃষ্টি করে দেশকে অলক্ষ্যে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত অনেকবার খালেদা জিয়ার মুখেও স্বাধীনতা বিরোধী শব্দটি শোনা গিয়েছিলো-অথচ তাদের ভাষায় যারা স্বাধীনতা বিরোধী-তাদেরই নিঃস্বার্থ সমর্থনে বিএনপি তখন ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলো। ১৯৯৪ এর মেয়র ইলেকশনে ঢাকার মির্জা আব্বাস ও চট্টগ্রামের মীর নাছির বিভাজনের প্রতিধ্বনি দিয়ে বলেছিলেন আমরা রাজাকার-স্বৈরাচারের ভোট চাই না। বিভাজনের রাজনীতি করায় শোচনীয়ভাবে তারা তখন হেরে গিয়েছিলেন। বিএনপি তখন বিভাজন ও হিংসার রাজনীতি না করে বিরোধী দলগুলোর প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শনপূর্বক দেশের উন্নয়নে যদি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতো-তাহলে তখন আওয়ামীলীগ-জামায়াত মিলে ১৯৩ দিন হরতাল দিতো না। হিংসা-বিদ্বেষ ও দমন-পীড়ন বিএনপি তখন না চালালে ১৯৩ দিন হরতাল না হওয়ার সুবাদে দেশ অনেক ক্ষতি থেকে বেঁচে যেতো। ফলশ্রুতিতে দেশে দৃশ্যমান অনেক উন্নয়ন দেখা যেতো। ১৯৯৬ এর ১২ জুন এর নির্বাচনে ১১৬টি আসনের পরিবর্তে ১৫১টির অধিক আসনে জেতার সমূহ সম্ভাবনা বিএনপির থাকতো এবং আওয়ামীলীগ তখন ক্ষমতায় আসতে পারতো না। বিএনপি কর্তৃক বিভাজন বিএনপির জন্য সম্পূর্ণ অকল্যাণকর হয় অন্যদিকে আওয়ামীলীগ তার সুফল গ্রহণ করে। বিএনপির বিভাজনের রাজনীতির কারণেই আওয়ামীলীগ-জামায়াত এক হওয়ার উপলক্ষ সৃষ্টি হয়ে আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়। ক্ষমতায় এসে বিএনপির মতো তারাও স্বাধীনতা বিরোধী শব্দটি ব্যবহার করে বিভাজনের রাজনীতি শুরু করে দেয়। ক্ষমতায় গেলেই বিভাজনের রাজনীতি!
জামায়াতের সহযোগিতায় পালাক্রমে বিএনপি-আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে সেই জামায়াতকেই কোণঠাসা করাসহ স্বাধীনতা বিরোধী বলে প্রচার করতে থাকে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জামায়াতের প্রয়োজন হলে তখন স্বাধীনতা বিরোধী না বলে পক্ষের শক্তি এবং পরবর্তীতে ক্ষমতায় গিয়ে সেই পক্ষের শক্তিকে স্বাধীনতা বিরোধী বলা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নয় কি? জামায়াতের সহযোগিতায় ক্ষমতায় এসে আওয়ামীলীগ বিএনপির চেয়ে কয়েকগুণ বেশী জামায়াত বিরোধী তৎপরতা শুরু করার পাশাপাশি বিএনপিকেও দমনের চেষ্টা শুরু করে দেয়। বিপদ বুঝতে পেরে বিএনপি জামায়াতের সাথে আবার এক হয়ে যায়-অথচ এক বছর পূর্বে বিএনপির কাছে জামায়াত ছিলো স্বাধীনতা বিরোধী। বিএনপির ভাষায় যারা স্বাধীনতা বিরোধী তাদের সাথে আবার একাট্টা হয়ে ২০০১ এ বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসলো। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত কষ্টের কথা স্মরণ করে বিএনপি ক্ষমতায় এসে পূর্বের ন্যায় জামায়াতকে দূরে ঠেলে না দিয়ে সাথে রেখে আসছিলো। ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত জামায়াত বিএনপির সাথে ক্ষমতায় থাকলেও দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে রুপান্তরে ভূমিকা রাখার মতো পর্যায়ে ছিলো না। দুই শতাধিক আসনে জেতা বিএনপিই ছিলো রাষ্ট্রের অল ইন অল। বিএনপি বিরোধী দলগুলোর প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শনপূর্বক রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিতপূর্বক যদি দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে রুপান্তরে কাজ শুরু করে দিতো তাহলে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা ১/১১ সৃষ্টির সুযোগ পেতো না। ১/১১ সৃষ্টিতে বিএনপির কিছু নেতাও ইন্ধন যুগিয়েছিলো। ৯২ থেকে ৯৬ পর্যন্ত বিএনপি কর্তৃক অনৈক্যের চাষবাস এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দেশের স্বার্থে করণীয় যা-তা বিএনপি করতে না পারায় দেশ এমন জায়গায় চলে আসলো দেশকে অবনতি থেকে উদ্ধারে এতগুলো বছর ধরে কিছুই করা যাচ্ছে না। ২০০৪ এ গ্রেনেড হামলার অন্তত সুষ্ঠু বিচার আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে যদি বিএনপি করতো তাহলেও একটা কথা ছিলো। তখন বিএনপি ক্ষমতায় আর তাই বিএনপি দায় এড়াতে পারে না। ঠিক একইভাবে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালানের দায়ও বিএনপি এড়াতে পারে না। এসবের কারণে ২০০৮ থেকে এই পর্যন্ত দেশী-বিদেশী চক্রান্তে দেশের নানাবিধ ক্ষতি হয়ে আসছে। দেশের এই ক্ষতির জন্য প্ররোচনাকারী হিসেবে বিএনপিও দায়ী। সামনে দেশের আরো মারাত্মক ক্ষতি হবে-সেটার জন্যও আওয়ামীলীগ এর পাশাপাশি বিএনপিও দায়ী থাকবে। আমরা দেশের জনগণও দায়ী থাকবো। একে অন্যকে দায়ী না করে করণীয় যা-তা করাটাই হচ্ছে-দেশ ও দশের তথা সকলেরই জন্য কল্যাণকর।
বিএনপি ৯২ থেকে ৯৬ পর্যন্ত বিভাজনের রাজনীতি করে ভুল না করলে ক্রমান্বয়ে এতো কিছু হতো না। বিএনপি দেশে আন্দোলনের মাধ্যমে কিংবা কৌশলী হয়ে অধিকার আদায় করতে না পেরে বিদেশিদের তুষ্ট করে ফেয়ার ইলেকশন আদায় করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে আসছে বছরের পর পর। বিদেশিরা স্বার্থ ছাড়া আগায় না। আওয়ামীলীগ থেকে বিএনপি বেশী সুবিধা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকলেই কেবল সাহায্য করবে কিংবা আওয়ামীলীগ কোনো একটি বিদেশি রাষ্ট্রের আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়ালে সেক্ষেত্রে দেশটি আওয়ামীলীগকে ফেয়ার নির্বাচন দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে যাবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ দেশের ক্ষতি হলে হয়ে যাক-এটা চিন্তা করে বিপরীত আরেকটি রাষ্ট্রের সাথে মিশে গেলে বিদেশি চাপে ফেয়ার ইলেকশন আদায় সম্ভব হবে না। ক্ষমতায় থেকে আওয়ামীলীগ যেটা পারবে (বিদেশিদের তুষ্ট করতে)-ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি সেটা পারবে না।
গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের দোহায় আমেরিকা তখনই দেয়-যখন তার কোথাও স্বার্থে আঘাত লাগার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। একনায়কতান্ত্রিক ও রাজতান্ত্রিক অনেক দেশের সাথে আমেরিকার বন্ধুত্ব – সেসব দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তারা কিছু কি বলে? বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার যা করে আসছে-তার বিরুদ্ধে আমেরিকা এতোদিন কিছু কি বলেছিলো? এখন বলছে স্বার্থের কারণে। স্বার্থ দিলে বলবে না। অন্যদিকে আওয়ামীলীগ সরকার তথা শেখ হাসিনা তাদের চাহিত স্বার্থ না দিলে শেখ হাসিনাকে সরানোর কোনো শান্তিপূর্ণ এখতিয়ার আমেরিকার নাই৷ তবে অবরোধ আরোপ করে দেশের সমূহ ক্ষতি করতে পারবে। অন্যদিকে শেখ হাসিনা পশ্চিমাদের রোষানলে বেশী পতিত হওয়ার সম্ভাবনায় পড়লে চীন কিংবা ভারতের সাথে দেশকে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে বিলীন করে দিবে। তারপরও শেখ হাসিনা টিকে থাকবে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জামায়াত-হেফাজতের সাথে অতীতে ঐক্য করলেও বিএনপি যাতে না করে তারজন্য দেশী-বিদেশী মাধ্যম ব্যবহার করে বিএনপি জামায়াত দূরত্ব সৃষ্টিতে কাজ করে আসছে বছরের পর পর-কিন্তু সফল হয়নি। বিএনপি এতো বছর পশ্চিমারা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে কোনো কিছু করছে না দেখে-জামায়াতের সাথে ঐক্যকে অপরিহার্য মনে করে-ঐক্য বজায় রেখে আসছিলো কিন্তু এখন পশ্চিমা কয়েকটি দেশ আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে তাদেরই স্বার্থের কারণে ফেয়ার ইলেকশনসহ মানবাধিকার এর কথা বলা শুরু করে দিলে বিএনপি খুশী হয়ে যায়। দেশে এমন অবস্থা সুষ্ঠু ইলেকশন হলে রুপক অর্থে বলা হয়ে থাকে যে, আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে একটা কলাগাছ দাঁড় করিয়ে দিলেও জিতে যাবে, সে জায়গায় জামায়াতের সমর্থন ছাড়া বিএনপি অনায়াসে জিতে যাবে-এটা মনে করে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পূর্বে বর্তমানে জামায়াতকে অবহেলা করা শুরু করে দিয়েছে এবং ক্ষমতায় আসলে ৯২ থেকে ৯৬ পর্যন্ত বিভাজনের যে রাজনীতি বিএনপি করেছিলো-তা আবার শুরু করবে। দেশকে বাঁচাতে হলে জামায়াতসহ আওয়ামীলীগকেও সাথে নিয়ে কোনো ধরনের বিভাজনের রাজনীতি না করে বিএনপিকে আগাতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে সর্বজনীন চিন্তাভাবনা নিয়ে বিএনপি আগাচ্ছে না। জিয়াউর রহমান এর আদর্শ থেকে বিএনপি অনেক আগে সরে এসেছে। বিদেশিরা বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে-সেটা দিবা স্বপ্ন। বিএনপি দেশের ক্ষমতায় আর কোনো দিন আসতে পারবে না/প্রতিশোধের ভয়ে বিএনপিকে আসতে দেওয়া হবে না। আওয়ামীলীগ এর পাশাপাশি পুলিশ, আর্মি, বিজিবিসহ দেশের বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত সিংহভাগ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী প্রতিশোধের ভয়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসুক-তা চায় না-কেননা প্রতিশোধের কথা বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বারবার বলে আসছে।
উপরে উল্লেখিত বিভিন্ন বিষয়সহ আরো নানাবিধ বিষয়ের প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বিএনপি আগামী ১০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কিন্তু এই ১০ বছরে দেশ ছাড়খার হয়ে যাবে।
আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জামায়াতকে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি এগুতে দিচ্ছে না-তা সঠিক কি বেঠিক সেই আলোচনায় না গিয়ে তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করার মানসে বিভাজনের রাজনীতি করে দেশের সমূহ ক্ষতি করাটাই যে শতভাগ অনৈতিক ও বেঠিক এটা নিশ্চিত বলা যায়।
দেশের অস্তিত্বের স্বার্থে বিভাজনের রাজনীতির কবর রচনা করতে হবে। ঐক্য ও সম্প্রীতির চাষবাস করতে হবে।
আর এই চাষবাস করতে হলে স্বাধীনতা বিরোধী নামক অনৈক্যের শব্দটি দেশ থেকে মুছে ফেলতে হবে। স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসেও যদি আমরা ৫২ বছর পেছনে পড়ে থাকি-তাহলে আমরা যে এগিয়ে আছি-এটা কি বলা যাবে?
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যে দলের নেতৃত্বে এসেছিলো সেই দল ক্ষমতায়। তারা স্বাধীনতা বিরোধী অনেকের তো বিচার করেছে- আরো ১ কিংবা ২ কোটির মতো স্বাধীনতা বিরোধী যারা আছে-পারলে তাদেরকে নাই করে দিক। নাই করে দিয়ে হলেও স্বাধীনতা বিরোধী তথা বিভাজনের রাজনীতির শব্দগুলো আমরা শান্তিকামী দেশের জনগণ আর শুনতে চাই না। ২ কোটিকে নাই করে দেওয়ার পরও তারা তুষ্ট না হয়ে স্বাধীনতা বিরোধী শব্দটি ঠিকই ব্যবহার করবে। ভিপি নুর (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলে ছাত্রলীগের পদবীধারী নেতা ছিলেন), বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীসহ অনেককে স্বাধীনতা বিরোধীদের দোসর বলা হয়েছে। ভারতীয় রাজাকার, পাকিস্তানি রাজাকার এরকম একে অন্যকে তকমা দিতে দিতে বলতে গেলে বাংলাদেশের প্রায় সব লোকই একে অন্যের দৃষ্টিতে স্বাধীনতা বিরোধী। কম্বলের লোম বাছতে বাছতে এক সময় কম্বলের অস্তিত্ব যেমন থাকে না – তদ্রূপ স্বাধীনতা বিরোধী বাছাই করতে গেলে বাংলাদেশ থাকবে না। আর তাই স্বাধীনতা “বিরোধী” এই শব্দটিকে দেশের সকল জনগণের ভুলে যাওয়া ফরজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আসলে স্বাধীনতা “বিরোধী” এই শব্দটি আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে যারা ব্যবহার করেন তারা আসলে নিজেদের দূর্বলতা ঢাকাসহ অনৈতিক স্বার্থ আদায় করার করার জন্যই ব্যবহার করে থাকেন। আওয়ামীলীগ এই শব্দটি এখন ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে- বিএনপিও ক্ষমতায় থাকতে (৯২- ৯৬) স্বাধীনতা বিরোধী তথা বিভাজনের শব্দটি ব্যবহার করতো। আবার প্রয়োজনে তথাকথিত স্বাধীনতা বিরোধীদের আওয়ামী লীগ ও বিএনপি খুবই কাছে টেনে নেয়। আমি খুবই অবাক হই। এইসব ডাবল স্ট্যান্ডার্ড রাজনীতিবিদরাই দেশকে সর্বনাশের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।
দেশকে সর্বনাশের দিকে যাওয়া থেকে বাঁচাতে দেশবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশবাসীদের মধ্যে দেশকে নিয়ে বেশী চিন্তা করেন। রাজনীতিবিদরা। রাজনীতিবিদদের মধ্যে দেশকে নিয়ে বেশী চিন্তা করেন-সৎ রাজনীতিবিদরা৷ দেশের সৎ রাজনীতিবিদরা হলো দেশের আপামর জনগণের পথ প্রদর্শক-তারা এগিয়ে আসলে দেশের জনগণ তাদের নেতৃত্বে এগিয়ে আসবেন।
সৎ রাজনীতিবিদরা সরকারি দল ও বিরোধী দল -উভয় দলে ছড়িয়ে আছেন। সরকারি দলে যারা আছেন-তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিরোধী দলে থাকা সৎ রাজনীতিবিদদের থেকে ভালো অবস্থানে আছেন বিধায় দেশকে উদ্ধারে তাদের অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি’র ফর্মূলার আলোকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সৎ রাজনীতিবিদরা দেশকে উদ্ধারে এগিয়ে আসলে তিন কিংবা চার মাসের মধ্যেই দেশে সর্বজনীন শক্তিশালী একটি মধ্যপন্থী প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়ে যাবে। যেই প্ল্যাটফর্মের প্রতি বর্তমান আওয়ামীলীগ কিংবা বিএনপি জোটের তেমন অনাস্থা থাকবে না। দেশে আস্থা ও বিশ্বাসের পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে ফেয়ার নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী
প্রতিষ্ঠাতা
বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি
মন্তব্য করুন