হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের সোনাই নদী থেকে মঙ্গলপুর ও তুলশীপুর এলাকা থেকে একটি সংঘবদ্ধ চক্র অবৈধভাবে বালু চুরি করে বিক্রী করে আসছে। এতে সরকার হারিয়েছে রাজস্ব।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রতিরাতেই চুরি করে বালু ভিবিন্ন এলাকা বিক্রী করে। মাধবপুর ভুমি অফিস সুত্রে জানা যায়, সোনাই নদীতে বর্তমানে কোন মহাল নেই। তুলশীপুর এলাকা দিনের বেলাও টলি দিয়ে হেলাল মিয়া বালু বিক্রী করে।
সরেজমিনে এসব দেখলে মনে হবে কোন আইন নেই তাদের জন্য। রাতে এসব বালুর ট্রাকের শব্দে এলাকাবাসীর চোখে ঘুম নেই। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তা দেখেও দেখে না।
সরেজমিনে এসব দেখলে মনে হবে কোন আইন নেই তাদের জন্য। রাতে এসব বালুর ট্রাকের শব্দে এলাকাবাসীর চোখে ঘুম নেই। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তা দেখেও দেখে না।
কাশিম নগর পুলিশ ফাঁড়ীর উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন ভুইয়া সাথে মুটো ফোনে রাতের বালু চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি রাগান্নিত হয়ে বলেন, আমাকে বালুর বিষয়ে ফোন দিবেন না। ফাঁড়ীর ইনচার্জ সাথে কথা বলেন।
কাশিম নগর পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ আরিফুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে রাতে চুরির বালুর বিষয়ে তিনি বলেন, ইসমাইলকে বলেন।
কাশিম নগর পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ আরিফুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে রাতে চুরির বালুর বিষয়ে তিনি বলেন, ইসমাইলকে বলেন।
গত রাতে ১২টা ও তাদের টহল বাহির হয়নি। ধর্মঘর ইউনিয়নের আহাম্মদপুর এলাকা থেকে আহাম্মদ আলী ও আবু কালাম দিন দুপরে অবৈধ ভাবে বালু ও মাটি উৎত্তোলন করে আসছে। মাটি ও বালু রাতের আধারে চুরি করে বিক্রী বন্ধ না করা হলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হারাবে সেই সাথে রাস্তা ও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বালু চুরি চক্রের সাথে জরিত রয়েছে একটি শক্তিশালি সিন্ডিকেট তাদের কাজ হল রাতে বালু চুরি করে নিরাপদ রোডে গন্তব্যে পাটানো।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে আরও জানা যায়, মাধবপুর থেকে পুলিশ বালুর গাড়ী আটক করতে পারলেও কাশিমনগর ফাঁড়ীর পুলিশ আজও একটি বালুর গাড়ী আটক করতে পারে না। কাশিমনগর ফাঁড়ী থেকে অনুমান ২কিলোমিটার হবে বালু চুরির এলাকা।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে আরও জানা যায়, মাধবপুর থেকে পুলিশ বালুর গাড়ী আটক করতে পারলেও কাশিমনগর ফাঁড়ীর পুলিশ আজও একটি বালুর গাড়ী আটক করতে পারে না। কাশিমনগর ফাঁড়ী থেকে অনুমান ২কিলোমিটার হবে বালু চুরির এলাকা।
স্থানীয় একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, বিশেষ করে রাতের বেলাতেই ট্রাক্টরযোগে বালু ও মাটি পাচার করে একটি শক্তিশালী চক্র। বালু চুর চক্র বড় নাকি প্রশাসন বড়। এ চিত্রে মনে হয় তাদের কাছে জিম্মি।
বহরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন জানান, বালু ও মাটি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে বরাবরই বিভিন্ন ফোরামে বলে আসছেন। রাবার ড্যাম রক্ষার স্বার্থে দ্রুত বালি ও মাটি পাচার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।মাধবপুর উপজেলা নিবাহী অফিসার (ইউএনও) মনজুর আহ্সান জানান, তিনি নতুন এসেছেন। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বহরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন জানান, বালু ও মাটি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে বরাবরই বিভিন্ন ফোরামে বলে আসছেন। রাবার ড্যাম রক্ষার স্বার্থে দ্রুত বালি ও মাটি পাচার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।মাধবপুর উপজেলা নিবাহী অফিসার (ইউএনও) মনজুর আহ্সান জানান, তিনি নতুন এসেছেন। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন