হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
শায়েস্তাগঞ্জ রেল জংশনে লাইট না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। পাশাপাশি চুরি, ছিনতাইসহ নানা ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে।
তবে যাত্রী ও স্থানীয়দের অভিযোগ বারবার আইডøবিও উর্ধ্বতন সহকারি প্রকৌশলী (পূত) মিঠুন দাসকে বলার পরও তিনি কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তিনি আখাউড়া বসে মাস শেষে বেতন নিয়ে থাকেন অথচ মানুষের অসুবিধা বুঝেন না। এমনকি শায়েস্তাগঞ্জ জংশনের কোনো সমস্যা তার চোখে পড়ে না। সিলেট বিভাগের ঐতিহ্যবাহী এ জংশনটি বর্তমান সরকারের আমলে মডেল জংশন হিসেবে রূপান্তর করা হয়। প্রতিদিন এ স্টেশন হয়ে পারাবত, জয়ন্ত্রিকা, উদয়ন, পাহাড়িকা , উপবন, কালনীসহ ২০টিরও বেশি ট্রেন যাতায়াত করে। এর মধ্যে বেশিরভাগ যাত্রীই ভিআইপি এবং সাধারণ। কিন্তু ভিআইপিদের জন্য বিশ্রামাগার থাকলেও প্রায়ই এটি বন্ধ থাকে। অনেকে বাধ্য হয়েই প্লাটফর্মে বসে থাকেন। কোনো কোনো সময় খুলে দেয়া হলেও ফ্যান বিকল থাকে। বসার কোনো জায়গা পাওয়া যায় না। টয়লেটের অবস্থাও থাকে নাজুক। বাধ্য হয়েই দিনে রাতে প্লাটফর্মে বসে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করেন। কিন্ত প্লাটফমের বিভিন্ন স্থানে পাওয়ার ফুল অর্ধশতাধিক লাইট রয়েছে। কিন্তু গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১০টি ছাড়া বাকি ৪০টিই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এতে রাতের বেলা চুরি, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ ঘটছে।
অনেক রেল কর্মচারীরা জানান, আইডøবিও মিঠুন দাস যোগদানের পর থেকেই আখাউড়া থাকেন। আমাদের কোনো সমস্যা দেখেন না। এ ছাড়াও আইডøবিও’র বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ হলে তিনি শুধুমাত্র ১ দিন অফিস করে আখাউড়া চলে যান।
মন্তব্য করুন