হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নে দেওয়ান এনাম চৌধুরী নামে এক যুবকের একের পর এক নির্যাতন, হামলা ও হুমকিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি। মঙ্গল বার (১ নভেম্বর)) নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের শতক পাঁচ মৌজার প্রায় ১ শতাধিক মানুষ যৌথ স্বাক্ষরে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।
আরো পড়ুনঃ মিথ্যা মামলার ওয়ারেন্ট ইস্যু করে লাভ নেই: ফখরুল
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- গজনাইপুর ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের দেওয়ান ইমরান চৌধুরীর ছেলে দেওয়ান এনাম চৌধুরী বিগত দুই বছর পূর্বে আপন চাচা দেওয়ান কামরান চৌধুরীকে দাড়াঁলো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তিনটি আঙ্গুল রক্তাক্ত জখম করে। এসময় দেওয়ান জাবেদ চৌধুরী ও দেওয়ান জামেল চৌধুরীসহ এলাকার মানুষ এসে দেওয়ান কামরান চৌধুরী উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এরপর আত্মগোপনে চলে যায় এনাম। কিছুদিন পর ফের এলাকায় ফিরে দেওয়ান কামরানকে তীর মেরে হত্যার চেষ্টা করে এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তার এমন কর্মকা-ে অতিষ্ঠ হয়ে দেওয়ান কামরান চৌধুরী এলাকার ছেড়ে চলে যান। চাচাকে খুন করতে না পেরে অভিমানে ওই গ্রামের মৃত দেওয়ান আব্দুল হাসিম চৌধুরীর দুই ছেলে দেওয়ান জাবেদ চৌধুরী ও দেওয়ান জামেল চৌধুরীকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে এনাম চৌধুরী । এঘটনার জের ধরে গত ৯ জুলাই দেওয়ান জামেল চৌধুরীকে মসজিদে এশার নামাজ পড়তে যাওয়ার পথিমধ্যে দাঁড়ালো চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে একাধিক স্থানে গুরুতর জখম করে এনাম চৌধুরী। পরে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
আরো খবরঃ এক সপ্তাহে সিলেটে দুই আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু
এ ঘটনায় দেওয়ান এনাম চৌধুরীকে আটক করে স্থানীয় লোকজন । পরে এলাকার মুরুব্বী ও চেয়ারম্যান-মেম্বারদের উপস্থিতিতে গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এ মামলায় এনাম চৌধুরী দীর্ঘ ২ মাস কারাভোগ করে জামিনে বেরিয়ে আসে।
এলাকায় এসে এনাম চৌধুরী গজনাইপুর ইউনিয়নের ৫নং ওর্য়াডের মেম্বার ইকবাল আহমেদ ছালিক ও ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহ্ জুবায়ের আহমেদ জুবুকে হত্যার হুমকি দেয়। প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র রামদা, ফিকল, লোহার রড, লাঠি হাতে নিয়া হত্যার হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। এতে দেওয়ান জাবেদ চৌধুরী ও দেওয়ান জামেল চৌধুরীসহ এলাকাবাসী নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে মর্মে উল্লেখ করে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন