ডেস্ক রিপোর্ট। দি সিলেট পোস্ট।
ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় সিলেট অঞ্চলের সুরমাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে হাওরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে জেলার গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, সিলেট সদর, ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে।
এসব এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দেখা দিয়েছে আগাম বন্যার শঙ্কা। তলিয়ে গেছে কয়েকশ হেক্টর জমির বোরো ধান। আবার কোথাও রাস্তাঘাট তলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জেলার জৈন্তাপুর উপজেলায় টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে সম্প্রতি সিলেট সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত শহরতলীর টুকেরবাজার এলাকা। সেখানকার নদী তীরবর্তী জনবসতি বাঁচাতে উদ্যোগ নিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন।
ব্যক্তিগত কাজে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নির্দেশে নদীভাঙন রোধে সিসিক কাজ করছে বলে জানান তার ব্যক্তিগত সহকারী মুহিবুল ইসলাম ইমন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নদীভাঙন রোধের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের সময় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রাজি উদ্দিন খান বলেন, নদীভাঙন রোধে মেয়রের নির্দেশনা মোতাবেক এক হাজার বস্তা বালু, পর্যাপ্ত ইট, ইটের খোয়া এবং বাঁশ সরবরাহ করা হয়েছে। দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে নিয়োজিত প্রায় ৫০ জন শ্রমিক দিন-রাত কাজ করছেন। নদীতে এখন প্রচুর পানি থাকায় পীরপুরের কিছু জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কিন্তু সাময়িক প্রটেকশনের জন্য যা প্রয়োজন, সবটুকুই করা হচ্ছে।
নদীভাঙন রোধের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে উপস্থিত ছিলেন সিসিকের পরিবহণ শাখা প্রধান তানভীর আহমদ তামিম ও সিসিকের সংরক্ষণ শাখার কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
মন্তব্য করুন