ডেস্ক রিপোর্ট। দি সিলেট পোস্ট
গত দুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ‘দৈনিক ইন্তেকাল’ নামে একটি প্রেস কার্ড। কার্ডটিতে দেখা যায়, একজনের ছবির নিচে লেখা ‘আবুল মিয়া’। তার নিচে লেখা ‘সাংবাদিক’।
গণমাধ্যমের এমন অদ্ভুত নাম দেখে বিস্মিত হন অনেকেই। এ নিয়ে হাসির রোল পড়ে যায়। ফেসবুকে শুরু হয় শোরগোল।
শনিবার বিকালে ছবিটি অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট করে এ নিয়ে ট্রল করেন। কেউ কেউ তুমুল সমালোচনাও করেন। গণমাধ্যমের এমন নাম কেন রাখা হলো? কী কারণে সংবাদমাধ্যম নিয়ে রসিকতায় মজেছেন তারা- এসব প্রশ্ন তোলেন অনেকেই।
মিডিয়াকার্ডটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যখন হইচই চলছে, তখন জানা গেল, এমন কোনো গণমাধ্যমের অস্তিত্বই নেই। কার্ডটি কাল্পনিক।
জানা যায়, কুয়াকাটা মাল্টিমিডিয়া নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারের জন্য কনটেন্ট তৈরির একটি অংশ এ প্রেসকার্ড। শুটিং চলাকালে কেউ একজন কার্ডটির ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে ভাইরাল করে দেন। বিষয়টি তাদের প্রচারণার কৌশল মাত্র।
ভুঁইফোড় সংবাদমাধ্যম ও তথাকথিত সাংবাদিকদের একহাত নিতেই এমন প্রেসকার্ডটি ছাপানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে কুয়াকাটা মাল্টিমিডিয়ার লেখক ও পরিচালক শুভ হোসাইন কবির ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেন, বর্তমানে ব্যাঙের ছাতার মতো ভুঁইফোড় সংবাদমাধ্যম গজিয়ে উঠেছে। যাদের কর্মকাণ্ডে সাংবাদিকতার মতো পবিত্র ও মহান পেশাকে আজকাল মানুষ তিরস্কার করছেন। ভুয়া সাংবাদিকদের শিক্ষা ও যোগ্যতা ছাড়াই অন্যের নাম ভাঙিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের রোষানলে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করা মিডিয়া ও যোগ্য সাংবাদিকদের। তাই এমন একটি চরিত্র তুলে ধরে সমাজের চোখ খুলে দিতে আমাদের এ আয়োজন। সমাজের সত্যিকারের সাংবাদিকদের সম্মান ও মর্যাদা বজায় রেখে কনটেন্টটি তৈরি করা হয়েছে।
‘দৈনিক ইন্তেকাল’ নামক কাল্পনিক পত্রিকার কাল্পনিক সাংবাদিক আবুল মিয়াও ঠিক তেমনই।
শুভ হোসাইন কবির, আমাদের কনটেন্টে যিনি ‘দৈনিক ইন্তেকাল’ পত্রিকার পরিচয় দিচ্ছেন তিনি ইউটিউব কনটেন্টের চরিত্রে ভুয়া সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্যের বিষয়টি তুলে ধরেন। সমাজের অনেক মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করতেন; কিন্তু একটা সময় তাকে আইনের আওতায় আসতে হয়। একই সঙ্গে অপরাধ অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হয়।
ভাইরাল প্রেসকার্ডে ‘দৈনিক ইন্তেকাল’ পত্রিকার প্রকাশিত ছবির ব্যক্তি ‘আবুল মিয়া’র নাম সাদ্দাম মাল। তিনি বলেন, আমরা মূল ধারার সাংবাদিকদের সমাজের আয়না হিসেবে দেখি। সত্যিকারের কলমযোদ্ধাদের সম্মান গল্পে সমুন্নত রেখেছি। এ গল্পে আবুল মিয়া একজন হলুদ সাংবাদিক। এটি শুধুই একটি গল্প। কার্ডটা দেখে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। বাস্তবে এমন কোনো পত্রিকা নেই।’
মন্তব্য করুন