সিলেটে নগরীতে বন্যার ক্ষয়-ক্ষতিঃ মিল আড়ত গোদামে পচলো কোটি টাকার ধান-চাল!


দ্যা সিলেট পোস্ট প্রকাশের সময় : মে ২৩, ২০২২, ১০:৫১ অপরাহ্ন /
সিলেটে নগরীতে বন্যার ক্ষয়-ক্ষতিঃ মিল আড়ত গোদামে পচলো কোটি টাকার ধান-চাল!

সিলেট প্রতিনিধিঃ

শনিবার (২১ মে) থেকে নদ-নদীর পানি খানিকটা স্থিতিশীল হওয়াতে সিলেট নগর থেকে পানি নেমে যায়। চারিদিকে মানুষ যখন খাবার সংকটে, তখন বন্যা পরবর্তী ক্ষতির দিকটা ক্রমশ ফুটে উঠছে। নগরের কাজিরবাজার ধান-চালের মিল ও আড়তের গুদামে রাখা সারি সারি ধান-চালের বস্তা ভিজে নষ্ট হয়েছে বন্যার পানিতে।
বন্যার পানি কমার পর গুদামের সাটার খুলতেই বেরিয়ে আসছে ধান-চাল পচা দুর্গন্ধ। মজুতকৃত ৫০ কেজির হাজার হাজার বস্তা চাল এবং ২ মন ওজনের ধানের বস্তার স্তূপ ভিজে পচন ধরেছে। কেউ স্যালো মেশিন লাগিয়ে সেচ দিয়ে গুদাম থেকে পানি সরাচ্ছেন। প্রতিটি গুদামে ঢুকেছে বন্যার পানি। হু হু করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাখার অভাবে আড়ৎদাররা ধান-চালের বস্তা সরানোর সময় পাননি।

জানা গেছে, নগরের কাজিরবাজার মোস্তাক এন্ড ব্রাদার্সের ৫টি গুদামের এক একটিতে অন্তত সহস্রাধিক বস্তা করে চাল রাখা ছিল। যেগুলো বন্যার পানিতে পচে নষ্ট হয়ে গেছে। কোনোমতে কিছু চাল সরাতে পারলেও বেশিরভাগ বন্যার পানিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে। একইভাবে এম এস অটো রাইস মিল, মতিন ব্রাদার্স, হাসান ব্রাদার্স, ফাইয়ান ও পদ্মা রাইস মিল, দয়া ও জামান মিল, রঙ্গেশ অটো রাইস মিলের হাজার হাজার বস্তা ধান-চাল রাখা ছিল। যেগুলো পচে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে।

মোস্তাক এন্ড ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম জানান, ৫টি গুদামের প্রতিটিতে এক হাজার বস্তা চাল রাখা ছিল। এর মধ্যে ১ হাজার ২০০ বস্তা চাল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার ভাইয়ের মিলেও হাজার হাজার বস্তা ধান চাল নষ্ট হয়েছে। এগুলো আর কোনো কাজে আসবে না। শুকিয়েও লাভ নেই।

তিনি বলেন, আমরা সরকারকে ট্যাক্স দেই। আমরা পথে বসে গেছি। আমাদের বিপদে সরকার পাশে থাকুক, এটা প্রত্যাশা করি।

রঙ্গেশ অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী গোবিন্দ চন্দ্র দেব বলেন, আমার গুদামে ১৪শ’ বস্তা চাল রাখা ছিল। এর মধ্যে ২০০ বস্তা ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে।

এসএল অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী আব্দুল হান্নান জানান, বন্যার পানিতে এক হাজার বস্তা চাল ও ধান ভিজে পচে নষ্ট হয়ে ২০ লাখ টাকার উপরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এছাড়া আরো অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শত শত বস্তা চাল ও ধান পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। ভিজে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা গুদাম থেকে সেগুলো সরাতে পারেননি। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে।