
নূরুজ্জামান ফারুকী হবিগঞ্জ থেকে
করোনা মহামারির কারণে গত তিন ঈদে কাপড়ের বাজার মন্দা ছিল। তবে এবার করোনার ধাক্কা সামলিয়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে বাজার। ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকায় এরই মধ্যে বাজারের ভীড় করছেন ক্রেতারা। বিশেষ করে নারী ক্রেতাদের পদচারণায় সরগরম হয়ে ওঠেছে ঈদ বাজার।
ব্যবসায়িরা জানান, করোনায় দুই বছর ঈদের বাজার মন্দা থাকলেও এবার ক্রেতা সমাগম ঘটছে। যে কারণে দেশি বিদেশি বিভিন্ন বৈচিত্রময় পোষাকে ব্যবসায়িরা সাজিয়েছেন বিপণী বিতানগুলো। এ বছর নারী ক্রেতাদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা ভারতীয় বিভিন্ন গান ও সিনেমার নামের কাপড় ও থ্রি-পিস। বিশেষ করে নারী ক্রেতাদের শীর্ষে রয়েছে কাচা বাদাম, পুষ্পা, গারারা ও সারারা নামের কাপড় ও থ্রি-পিসের।
ক্রেতাদের অভিযোগ- এ বছর কালেকশন ভালো থাকলেও দাম অন্য বছরের চেয়ে দ্বিগুণ। যে কারণে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো পরেছে বিপাকে।
মঙ্গলবার হবিগঞ্জ শহরের ঘাটিয়া বাজারের এসডি স্টোর, এসডি প্লাজা, এমবি প্লাজা, মধুমিতা, খাজা গার্ডেন সিটি, আশরাফ জাহানে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতাদের প্রচন্ড ভীড়। বেচাকেনায় দম ফেলার ফুরসত নেই ব্যবসায়িদের।
এদিকে, পুরুষদের ঈদ বাজার এখনও পুরোপুরি জমে ওঠেনি। তবে যারাই কেনাকাটা করছেন তাদেরও অভিযোগ পাঞ্জাবীর দোকানগুলোতে এবার চড়া দামে বেচাকেনা হচ্ছে। গত বছর যে পাঞ্জাবী ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকায় কেনা গেছে, এ বছর সেগুলো ৭শ’ থেকে ১১শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাপড়ের সাথে তাল মিলিয়ে ভীড় জমেছে জুতার, প্রসাধনি ও গহনার দোকানে।
ঘাটিয়া বাজারের মেসার্স আল নুর সিটির ম্যানাজার জানান, এই বছর ঈদে ছেলেদের মধ্যে পাঞ্জাবি এবং মহিলাদের টাঙ্গাইল শাড়ির প্রতি বেশি আকর্ষণ। এছাড়া কাচা বাদাম, পুষ্পা, গারারা, সারারার চাহিদাও প্রচুর।’ এসডি ষ্টোর কর্মচারী অর্জুন রায় জানান, এই ঈদে সুতি টাঙ্গাইল শাড়ি, তাতের শাড়ি, সিল্ক শাড়ি থেকে অরগেঞ্জ ওকাঞ্জীবরন শাড়ি বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্য টাঙ্গাইল শাড়ি ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকা কাঞ্জীবরন শাড়ি ১১ থেকে ১২ হাজার ও অরগেঞ্জা শাড়ি ৩ থেকে ৫ হাজার টাকার মূল্য।
এসডি প্লাজা ম্যানাজার বিপুল রায় জানান, গত বছর থেকে এই ঈদে ক্রেতাদের আনাগুনা বেশি এবং আমাদের ব্যবসা গত বছরের তুলনায় ভালো কিন্তু ঈদের বাজারগুলোতে চোর, ছেচড়া, পকেটমারের উপদ্রব্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য ঈদের বাজারে আইনশৃংখলা মোতায়েন করা জরুরী।
স্মার্ট ওয়ারের ব্যবসায়ী আরিফ আহমেদ জানান, মেয়েদের তুলনায় এখনও পর্যন্ত ছেলেদের কাপড় কম বিক্রি হচ্ছে। তবে শেষ দুইদিনে বিক্রির পরিমান বাড়তে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :