সড়ক নয়, যেন চাষের জমি


দ্যা সিলেট পোস্ট প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৫, ২০২২, ১২:২৪ পূর্বাহ্ন /
সড়ক নয়, যেন চাষের জমি

ডেস্ক রিপোর্ট। দি সিলেট পোস্ট।

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর থেকে বোগলাবাজার ইউনিয়নের নোয়াডর পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তায় কাদায় জমে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও ওই রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ওই দুই ইউনিয়নের অর্ধলাখ মানুষ।

সরেজমিন দেখা যায়, বক্তারপুর খেয়াঘাট থেকে নোয়াডর গ্রামের জসিম মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার অধিকাংশ স্থানে কাদাপানিতে পরিপূর্ণ। ওই রাস্তায় মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছাড়া অন্য যানবাহন চলাচল করে না। গাড়ির চাকা কাদায় দেবে গেলে যাত্রী-চালকরা সবাই মিলে ঠেলা-ধাক্কা দিয়ে রাস্তা এগোচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, ওই সড়কটি ভারতের সীমান্তঘেঁষা। সীমান্তের ২০ গ্রামের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী পার্শ্ববর্তী লিয়াকতগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ক্যাপ্টেন হেলাল খসরু উচ্চ বিদ্যালয়, বোগলা রোসমত আলী-রামসুন্দর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কাঁঠালবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বক্তারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পেস্কারগাও দাখিল মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত।

শুকনো মৌসুমে ধুলাবালি আর বর্ষায় কাদামাটি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয় তাদের। বিকল্প সড়ক না থাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহণ ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। কাঁচা রাস্তায় পিচ্ছিল হওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রতিবছর সামান্য মাটি ভরাট ছাড়া কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি ওই রাস্তায়। নেতাদের শুধু দায়সারা আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ, তাই রাস্তা আর পাকা হয়নি।

বাঘমারা গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম ও জাকির হোসেন বলেন, বর্ষা মৌসুমে গাড়ি চলা তো দূরের কথা পায়ে হেঁটেও পথ অতিক্রম করা ঝুঁকিপূর্ণ। উন্নত চিকিৎসায় জরুরি রোগী নিয়ে যেতে হিমশিম খেতে হয়। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতেও পারছেন না।

বোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিলন খান বলেন, এই রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। এ ব্যাপারে আগে একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। আবারো এমপি মহোদয় ও এলজিইডির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করব, যাতে অন্তত এক কিলোমিটার রাস্তা দ্রুত পাকা করা যায়। তবে পুরো রাস্তাটি পাকাকরণ জরুরি।

এলজিইডি দোয়ারাবাজারের উপসহকারী প্রকৌশলী সাদিরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় পর্যায়ের রাস্তা পাকাকরণ দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। প্রতি বছর ঢাকা থেকে একটা প্রজেক্ট হয়। তারা স্কিম চায়, আমরা স্কিম পাঠাই। তারপর এটা মন্ত্রণালয়ে পাশ হয়। এরপর আমরা মাঠ পর্যায়ে জরিপ করি। এভাবে পর্যায়ক্রমে কাজ শুরু হয়। অন্তত দুই বছর আগে থেকে একটা কাজের প্রসেসিং চলে। বক্তারপুর-বোগলা রাস্তাটি ওই স্কিমের অন্তর্ভুক্ত। অনুমোদন পেলে এটি পাকাকরণ করা হবে।