হচ্ছে না সীমান্তে দুই বাংলার মিলনমেলা


দ্যা সিলেট পোস্ট প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৫, ২০২২, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন /
হচ্ছে না সীমান্তে দুই বাংলার মিলনমেলা

পঞ্চগড় :প্রতিনিধি

পঞ্চগড় জেলার সীমান্ত দীর্ঘদিনের সেতুবন্ধন পাশাপাশি ভারত বাংলাদেশ প্রতিবেশী সমবেত অপেক্ষার দীর্ঘ দুই বছর কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২০১৯, ’২০ ও ’২১ সালে পঞ্চগড় সীমান্তে দুই বাংলার কাঁটাতারের মিলনমেলা হয়নি।
১৮ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সীমান্তে নানা সমস্যার কারণে এবারও হচ্ছে না। সীমান্তে এ মেলা চালুর বিষয়ে একটা দরখাস্ত করা হয়েছিল।

পহেলা বৈশাখ নববর্ষ উপলক্ষে দুই দেশের মধ্যে ১০০% প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছিল। এখন না হওয়ায় ভারত-বাংলাদেশ এ বিষয়ে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে বলে জানাযায়। তাই এবারও বসছে না এ মিলনমেলা।বিজিবি সুত্রে জানায়, ইনশাল্লাহ আগামীতে এ মেলা বসবে বলে আমরা আশা করছি।

সাধারণত বৈশাখের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন সীমান্তে এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রতি বছর বাংলা নববর্ষে পঞ্চগড়ের অমরখানা, শুকানি, মাগুরমারি ও ভূতিপুকুর সীমান্তসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টের কাঁটাতারের পাশে প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দুই বাংলার মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দু’দেশের হাজার হাজার মানুষ উৎসুবজনতা জমায়েত হয়ে একে অন্যের সঙ্গে তাদের সুখ দুঃখের ও ভাব বিনিময় করেন। তবে এবার সেই অন্যরকম আনন্দ চোখে পড়বে না।

ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির আগ পর্যন্ত এ জেলা ভারতের জলপাইগুড়ির অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু দেশভাগের কারণে এখানে বসবাসরত আত্মীয়-স্বজন দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও দুদেশের নাগরিকরা আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে যাতায়াতের সীমিত সুযোগ পেতেন। কিন্তু সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার পর থেকে সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন তারা। উভয় দেশের নাগরিকদের অনুরোধে প্রায় এক যুগের মতো সময় ধরে বিজিবি ও বিএসএফের সম্মতিতে নববর্ষের দিন তারা কাঁটাতারের দুই ধারে এসে দেখা করার সুযোগ পান।

তবে টানা তিন বছর ধরে পহেলা বৈশাখে পঞ্চগড়ের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অভিমুখে এ মেলা হয়নি। এবারও হচ্ছে না।

এদিকে পঞ্চগড়ের কিছু সীমান্ত অংশ নীলফামারী ৫৬ বিজিবির অধীনে থাকায় তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।