
ডেস্ক রিপোর্ট। দি সিলেট পোস্ট
সুনামগঞ্জের হাওড়ের ফসল রক্ষা বাঁধ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় একটি বেসরকারি টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি শহীদনূর আহমেদকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছেন ওই সাংবাদিক।
শহীদনূর জানান, সম্প্রতি সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওড়ের ফলস রক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়মের ফলে ফসলহানি ঘটনা ঘটে। অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রচার করেন তিনি। সোমবার রাতে শান্তিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমেদ তাকে ফোন করে জানতে চান, হাওড়ের দুর্নীতিতে ছাত্রলীগকে কেন জড়ানো হয়েছে। আলাপের একপর্যায়ে উত্তেজিত নাইম তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে পরিণাম খুবই খারাপ বলেও জানান ধমকান তিনি।
এরপর মঙ্গলবার দুপুরে একই কারণে ফোন দিয়ে ওই সাংবাদিককে অকথ্যভাষায় গালিগালাজের পাশাপাশি তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের নেতা মতিউর রহমান মতি।
সাংবাদিক শহীদনূর আহমেদ বলেন, হাওড়ে কী পরিমাণ অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে সেটির চিত্র তো সবার সামনেই। আমি গেল এক সপ্তাহ ধরে বাঁধের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ তুলে ধরি। তবে গেল দুই দিন আগে আমি শান্তিগঞ্জ উপজেলায় গিয়ে হাওড়ে বাঁধের অনিয়মের কিছু চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করি। এ সময় ওই এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি বিষয়টি ভালোভাবে নেননি। এরপর থেকেই আমাকে ফোন দিয়ে একটানা হুমকি দিয়েই যাচ্ছেন তারা। যার কারণে এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি থানায় তাদের বিরুদ্ধে জিডি করেছি। আশা করি পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এদিকে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সুনামগঞ্জের গণমাধ্যমকর্মীরা। এর প্রতিবাদে বুধবার সুনামগঞ্জ প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপঙ্কর কান্তি দে ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সত্যিই এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেব। একজন সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি ইফতেখার চৌধুরী বলেন, প্রাণনাশের হুমকির ঘটায় জিডি করেছেন সাংবাদিক শহীদনূর। আমরা তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আপনার মতামত লিখুন :