মাগুরায় মশার কয়েলের আগুনে একটি বড় গাভীন গরু ও ছাগলের মর্মান্তিক মৃত্যু


দ্যা সিলেট পোস্ট প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৮, ২০২২, ১২:২৯ পূর্বাহ্ন /
মাগুরায় মশার কয়েলের আগুনে একটি বড় গাভীন গরু ও ছাগলের মর্মান্তিক মৃত্যু

আঃজলিল স্টাফ রিপোর্টারঃ

মাগুরায় মশার কয়েলের আগুনে পুড়ে একটি বড় গাভীন গরু ও চারটি ছাগলের মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। ৭ এপ্রিল রোজ বৃহস্পতিবার ২০২২ ইং তাং এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।

গরীব অসহায় মানুষ স্বপ্ন দেখে বাস্তবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, যখন সেই বাস্তবমুখী স্বপ্ন স্রোতের কষাঘাতে ভেঙে খান খান হয়ে যায় তখন তার আর কিছু করার থাকে না।

ঠিক তেমনি একটি ঘটনা ঘটেছে মাগুরা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড ছোট ফালিয়া গ্রামে, কৃষক দিনমজুরি খেটে খাওয়া মানুষ মোঃ আকমল জোয়াদ্দারের পরিবারে।

বুধবারের দিবা গত দিন রাত্রি ০৭ – ০৪ – ২০২২ ইং রোজ বৃহস্পতিবার আনমানিক রাত্রি দুইটা থেকে তিনটার সময় মশার কয়েলের আগুনের সূত্রপাত থেকে গোয়াল ঘরে আগুন ধরে যায়।

এমতাবস্থায় গোয়াল ঘরে গাভীন একটি বড় জাতের গরু ছিল এবং চারটি ছাগল ছিল ঘটনাস্থলেই আগুনে পুড়ে পশুগুলো মারা যায়, এবং গোয়াল ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

গরুটি সহ চারটি ছাগল মোঃ আকমল জোয়াদ্দারের ছেলে মোঃ আজাদ জোয়াদ্দারের। আজাদ জোয়াদ্দার পেশায় একজন দিন মুজুর ও মাঠে কৃষকের কাজ করে।

যখন দাও দাও করে গোয়াল ঘর আগুনে পুড়ছিল তখন আজাদ জোয়াদ্দারের বাবা মোঃ আকমল জোয়াদ্দার বুঝতে পেরে গোয়াল ঘরের দিকে ছুটে যায় এবং দেখতে পাই গোয়াল ঘরে আগুন লেগেছে।আর্ত চিৎকারের আওয়াজ শুনে আশে পাশের বাড়ি থেকে এবং মহল্লার লোকজন বেরিয়ে আসে। গ্রামের সবাইকে সাথে নিয়ে আকমল জোয়াদ্দার গোয়াল ঘরের আগুন নেভাবার চেষ্টা করে।

প্রতিবেশী শাহনাজ কোবির মঞ্জু বলেন রমজান মাস আমার স্ত্রী সেহরি খাবার তৈরি করেছিলেন আমি বাড়ি থেকেই বুঝতে পেরেছিলাম আগুন ধরেছে।যার কারণে মাগুরা ফায়ারসার্ভিস অফিসে ফোন দিয়ে আগুন ধরার বিষয়টি নিশ্চিত করি।

ফায়ার সার্ভিস অফিস থেকে বলেন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন আগুন যদি নিয়ন্ত্রণে এসে যায় তাহলে আর যাওয়ার দরকার নেই।
এরপর আমি ঘটনাস্থলে যায় এবং দেখি আগুন নিভে গেছে যার কারণে ফায়ার সার্ভিস অফিসে ফোন করে বলি আগুন নিভে গেছে আপনাদের আসার দরকার নেই।

বাড়ির পাশের আরেক প্রতিবেশী সামসেল চাচা বলেন আমার বাড়ির মোটর দিয়ে পানি দিয়েছি তাতে আগুন নিভাতে অনেকটা সহজ হয়েছে।
আজাদের মা এবং বউ কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে আমরা গরীব মানুষ এত বড় দুর্ঘটনা কিভাবে সহ্য করবো। এলাকার মানুষ পরিবারটিকে সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করে।