
তেতুলিয়া প্রতিনিধি
আশ্চর্যজনক হলেও সত্যিই তেতুলিয়ায় উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বাড়ি নির্মান কাজ চলছে– একজন পত্র জারিকারক এবং রাজ মিস্ত্রির তদারকিতে।অভিযোগ উঠেছে দায়িত্বপুর্ন কোন কর্মকর্তা না থাকায় এই সকল ঘর নির্মানে ব্যাপক অনিয়ম করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানাযায়, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন -২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় প্রায় ২ শত টি মত এর মধ্যে চলমান ২শত গৃহহীন পরিবারের বাড়ি নির্মানেরর জন্যে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।এর মধ্যে ৩ নং তেতুলিয়া ইউনিয়নে রনচন্ডি গোয়াবাড়ি ৩০ টি সদর তৈলিপাড়া ৩৫ টি এবং তিরনই- খয়খাটপাড়া ৭০টি বাংলাবান্ধার সিপাইপাড়া ৩০ টি ঘর নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী গৃহনির্মাণ কাজের লে আউট প্রদান,ঘরের নিলটন ঢালাই পলেস্তার করন এবং টয়লেট রিং স্থাপনের সময়ে অবশ্যই উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রকৌশলী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং সম্ভব হলে পিআইসি কমিটির সদস্যদের উপস্থিতে নিশ্চিত করতে হবে।কিন্তু ভুমিহীনদের ঘর নির্মান কাজ চলমান থাকলেও প্রকল্প এলাকায় দায়িত্ব প্রাপ্ত কোন কর্মকর্তাকে চোখে পড়েনি। মহানন্দা নদীর পাথর ও পলিযুক্ত বালি নিন্মমানের ইট সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে।এব্যাপারে বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান কুদরতি খুদা মিলন জানান,মহানন্দা স্লাবের বালি চলবে পলিযুক্ত চলবে না।এছাড়া তিনি মন্তব্য করতে রাজি নয়।
সরজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, সরকারী ভাবে নিযুক্ত তদারকি কোন কর্মকর্তা না থাকায় যেনতেন ভাবে চলছে– ঘরের কাজ পলেস্তারসহ টয়লেটের রিং স্থাপনের কাজ তদারকি কর্মকর্তা না থাকায় নির্মান কাজে নিয়োজিত শ্রমিকেরা নিন্মশ্রেনীর সামগ্রী ব্যবহারসহ নিজের ইচছামত কাজ করছে।নিলটন ঢালাই নীতিমালা অনুযায়ী খোয়া,বালু ইট এবং সিমেন্টের মিশ্রনের সময়ে ও একজন তদারকি কর্মকর্তা থাকার কথা কিন্তু সেখানেও কোন তদারকি কর্মকর্তা নেই। তদারকি কর্মকর্তা না থাকায় রাজমিস্ত্রিরা যেনতেনভাবে বালুখোয়া ও সিমেন্টেরর মিশ্রণ দিয়ে ঘরের নিলটন ঢালাই এবং পলেস্তারার কাজ করছে।
এব্যাপারে এলাকারবাসি, আব্দুল রাজ্জাক, সামসুজ্জামান আব্দুল, রহমান মিয়া জানান,মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার গৃহহীনদের বাড়ি নির্মান কাজ চলমান থাকলেও সরকারী ভাবে কোন তদারকি কর্মকর্তা না থাকায় নির্মান কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা নিন্মশ্রেনীর সামগ্রী ব্যবহারসহ নিজের ইচছামত কাজ করছে।তদারকি না থাকায় কর্মকর্তার দেখভাল কে? করছে জানতে এ বিষয়ে পঞ্চগড়ে হারিভাসার মিস্ত্রি শাহাজাহান, মনোরন্জন দাস,জাহাঙীর আলম জানান,উপজেলার নিযুক্ত আশরাফ নামে একজন এসে কাজ দেখাশুনো করেন।মাঝেমধ্যে উপজেলা সহকারী এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসে কাজ দেখে চলে যান।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাকির হোসেন সাথে কথা বললে তিনি জানান,ঘর নির্মান কাজে অবশ্যই একজন উপসহকারী প্রকৌশলী তদারকি দায়িত্বে থাকবে। উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাইয়িত তিনি বলেন,ঘর নির্মান কাজে এক সহকারী প্রকৌশলী নিযুক্ত রয়েছে।সরজমিন বাংলাবান্ধা সিপাইপাড়া প্রকল্প গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি একজন রাজমিস্ত্রি জানিছেন, কাজের সার্বিক দায়িত্ব রয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার।এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার জাকির হোসেন জানান, ৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪৫০ টি মত গৃহহীনদের ঘর নির্মানে প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়,চলমান ২শত টি রয়েছে। প্রতি ঘর নির্মানে ব্যয় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।তেতুলিয়া বুড়াবুড়ি শিলাইকুড়ি শাররিক প্রতিবন্ধী শহিদুলেরর অভিযোগ করে জানান,তিনি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পেয়েছে তার ঘরে ফাটল দেখাগেছে। পাশে তার ভাইয়ের ঘরে ফাটে বলে বলেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ঘর নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের পর পঞ্চগড় ১৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটেলিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সালেহ আহমেদ আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজ স্থগিত রাখতে বলেন। তিনি বিজিবি ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্ট নামে বিজিবির একটি প্রতিষ্ঠানের জমি দলিল-মুলে ক্রয় রয়েছে বলে জানান, একিভাবে পাল্টা দাবী -উপজেলা প্রশাসনের বলেন, ১ নং খাস খতিয়ানের ২৪২ দাগের জমিতেই আশ্রায়নের ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে দাবী করেন।এই উপজেলার প্রায় সাড়ে চারশ গৃহহীন মানুষের জন্য সাড়ে চারশ বাড়ির বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ৩৫ জন ভূমিহীনের আশ্রয়নের জন্য মান্ডুল পাড়া গ্রামে ২ শতক করে দশমিক ১২ একর খাস জমি বরাদ্দ দেয়া হয়। পরে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সালেহ আহমেদ উপস্থিত হয়ে এখানে বিজিবি ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্টের কেনা সম্পত্তি রয়েছে বলে দাবি জানান। এ বিষয়ে গোয়াবাড়ি গ্রামের দিনমুজুর মামলার বাদী আব্দুল জব্বার এক কৃৃষক অভিযোগ করে বলেন,আমার জমিতে স্যারের চোখ পড়েছে।
জোরপূর্বক জবরদখল করতে আসছিলে তাই তিনি স্যারের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় আদালতে মামলা করেছেন বলে জানান।
আপনার মতামত লিখুন :