
স্টাফ রিপোর্টঃ
নিম্নে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির ১৫ দফা কর্মসূচি”র সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হলরট
১। দলের অভ্যন্তরে সর্বপ্রথম কেন্দ্রীয় ফোরাম এর ৭১ জনের সবাইকে দলীয় বেশ কিছু নীতি ও আদর্শে শতভাগ আদর্শায়িত করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ। দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র নিশ্চিতপুর্বক সৎ ও যোগ্যদের যোগ্যতার মূল্যায়ন করা তবে যোগ্য হলেও অহংকারী, পরশ্রীকাতর, খোঁটাদানকারী, নেতৃত্বলোভী ও ইগো লালনকারীদের দলে না রাখা। বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি বিশ্বাস করে প্রথমে দলের ব্যক্তি ঠিক হতে হবে। ব্যক্তি ঠিক না হলে দল ঠিক হবে না এবং দল ঠিক না হলে সেই দল ক্ষমতায় গেলে সেই দলটি দূর্নীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত হয়ে দেশের ক্ষতি করে যাবে। আর তাই উপরোক্ত পদক্ষেপ।
২। দেশের জনগণের ইচ্ছার শতভাগ প্রতিফলন যাতে ঘটে তারজন্য কোন একক নেতাকে প্রাধান্য না দিয়ে সংসদে আলোচনা সাপেক্ষে রাষ্ট্রীয় যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও অনুমোদনের বিধান করা। বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির ১ম, ৫ম, ৭ম, ৯ম ও ১০ম মিটিং এ গৃহীত রেজুলেশন বাস্তবায়ন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সমূহের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা।
৩) ক্ষমাশীলতা, সহনশীলতা, ধর্ম ও দল নির্বিশেষে সার্বজনীন ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি ইত্যাদির শতভাগ চর্চা দলের কর্মীসহ দেশের জনগণ যাতে করেন-সে রকম দৃষ্টিভঙ্গি যাতে গঠিত হয়- তারজন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা।
৪। ক্ষমতায় আসলে দেশে বিরাজিত সব দল ও ধর্মীয় সম্প্রদায় থেকে আনুপাতিক হারে লোক নিয়ে একটি সর্বদলীয় উপদেষ্টা কাউন্সিল গঠন করা।
৫। সকল জনপ্রতিনিধিসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সমূহের সব বিষয়ে শতভাগ জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
৬)জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নূন্যতম ৩৫ শতাংশ আসন নারীদের জন্য নির্দিষ্ট করা।
৭) পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করাসহ কারিগরি শিক্ষালয় ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত স্থাপিত করা। শিক্ষা জাতীয়করণের ক্ষেত্রে গ্রাম-গঞ্জ থেকে শুরু করে দেশের সব জায়গায় প্রতিষ্ঠিত কোন প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেওয়া হবে না। সেসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সবার চাকরি জাতীয়করণ করা হবে (কারো সার্টিফিকেট কম থাকলে-তা অর্জনের জন্য সময় দেওয়া হবে। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের মূল প্রতিষ্ঠাতাকে প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে রাখা হবে।) জাতীয়করণের পাশাপাশি শিক্ষকদের বেতন ভাতা সম্মানজনক করা হবে।
ব্রেইন ড্রেইন যাতে না হয়-তার জন্য মেধাবীদের উন্নত দেশের সমান সুবিধা দিয়ে দেশে রাখার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
৮। দেশের কোন জমি যাতে অনাবাদি না থাকে, পরিত্যক্ত না থাকে সেটার দিকে বিশেষ নজর দিয়ে, কোন পণ্যের দেশে কতো চাহিদা এবং বিদেশে রপ্তানির আগাম প্রতিশ্রুতি সাপেক্ষে সে পরিমাণ কৃষি পণ্য চাষ করা। কৃষকদের পর্যাপ্ত প্রণোদনা দেওয়াসহ বিএডিসিকে শতভাগ আন্তরিক হতে সহযোগিতা করে কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটানো।
৯।বিনিয়োগ ও শিল্পবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা। দেশের চাহিদা নিরুপণসহ বিদেশে রপ্তানির হিসেব করে বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানা স্থাপনসহ শ্রমিকদের যাবতীয় অসুবিধার দিক খতিয়ে দেখে তা উত্তরণে সহযোগিতা করা এবং উন্নত বিশ্বের সমান সুবিধাদি শ্রমিকদের দেওয়ার আন্তরিক চেষ্টাসহ শিল্প বিপ্লব ঘটানো।
১০)প্রায় এক কোটি রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের বিষয়ে বিশেষ নজর দিয়ে তাঁদের যাবতীয় সমস্যাগুলো সমাধানপূর্বক তাদের জীবন-মান উন্নয়নে প্রশিক্ষণসহ যা যা করার দরকার – তা করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
১১।স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে আধুনিক যাবতীয় ব্যবস্থাগ্রহনসহ দেশের সকল নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালু।
১২) দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার স্বার্থে সিন্ডিকেট বিলোপ সাধনসহ মধ্যসত্বভোগীরা পণ্যের অতিরিক্ত দাম যাতে বাড়াতে না পারে-তারজন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
১৩)ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বীদের যাবতীয় অসুবিধার দিক খতিয়ে দেখে তা উত্তরণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
১৪) অতীতের সরকার সমূহের সংস্কারমূলক কাজ সমূহ অব্যাহত রাখা। সকল রাজনৈতিক দলসহ অতীতের সরকারগুলোকে পূর্বসুরী হিসেবে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা।
১৫)দেশের কর্মক্ষম সকল নাগরিকের জন্য কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সম্ভব না হলে অবশ্যই বেকার ভাতা দেওয়া। পূর্ববর্তী সরকার সমূহ কর্তৃক চালুকৃত মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ সব ধরনের ভাতা অব্যাহত রাখা।
আমাদের দল তথা বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি ক্ষমতায় আসলে “আমরা সবাই রাজা-রাজার রাজত্বে” – উক্তরুপ মনোভাব দেশের সকল জনগণ যাতে পোষণ করেন-তারজন্য মানবীয় সকল গুণের শতভাগ অনুসরণসহ সাধ্যের মধ্যে দেশের জনগণের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার জন্য আমরা শতভাগ আন্তরিক চেষ্টা চালাবো।
আপনার মতামত লিখুন :